চলতি অর্থবর্ষের (২০১৫-’১৬) তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রেকর্ড মুনাফার মুখ দেখল বিমান পরিষেবা সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। এই নিয়ে টানা তিন বার মুনাফা করল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থাটি। তার আগে বেশ কয়েকটি ত্রৈমাসিকে পর পর লোকসান করেছে তারা।
গত ত্রৈমাসিকে সংস্থার নিট মুনাফা বেড়েছে সাত গুণেরও বেশি। দাঁড়িয়েছে ৪৬৭ কোটি টাকায়। মূলত বিমান জ্বালানি এটিএফের দাম কমার জেরেই এত বেশি মুনাফা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। আলোচ্য সময়ে জ্বালানি খাতে তাদের খরচ কমেছে ২৭ শতাংশ। গত ত্রৈমাসিকে ব্যবসা থেকে তাদের মোট আয়ও ৮ শতাংশ বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৫,৪৪৪ কোটি টাকায়। যাত্রী সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়াই যার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে জেট।
সংস্থার সিইও ক্র্যামার বল জানান, জেট এয়ারকে ঘুরে দাঁড় করাতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা কাজ দিতে শুরু করেছে। এই আর্থিক ফলাফলই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে বিমান পরিষেবার চাহিদা বাড়লেও, তার সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়েছে জেট এয়ার। ২০০৭ সাল থেকে কোনও অর্থবর্ষে মুনাফার মুখ দেখেনি তারা। বরং যাত্রী টানতে বিমান ভাড়ায় প্রতিযোগিতায় নেমে এবং বেশি খরচ সামলাতে গিয়ে লোকসান করেছে তারা।
তবে এর মধ্যেই গত এক বছরে ক্রমাগত বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমা কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে দেশের বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলিকে। কারণ তাদের খরচের প্রায় ৪০ শতাংশই যায় তেলের দাম মেটাতে। জেট এয়ারও তার ব্যতিক্রম নয়। এর পাশাপাশি, যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের বিমান পরিষেবা ক্ষেত্র নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
তবে এই পরিস্থিতিতেও সতর্ক হয়ে চলার কথা জানিয়েছেন বল। আগামী দিনে খরচ কমিয়ে এবং এতিহাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিষেবার মান বাড়াতে সংস্থা উদ্যোগী হবে বলেই তাঁর দাবি। উল্লেখ্য, জেট এয়ারওয়েজের ২৬ শতাংশ মালিকানা রয়েছে আবুধাবির বিমান পরিষেবা সংস্থা এতিহাদের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy