অবশেষে বনহুগলিতে উদ্বাস্তুদের জন্য বেসরকারি লগ্নিতে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হল। খাস কলকাতায় উদ্বাস্তুদের জন্য এই আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা ২০১২-র শেষে তৃণমূল সরকারের ছাড়পত্র পায়। সংশ্লিষ্ট দফতরের দাবি, এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৬৫ কোটি টাকায় উদ্বাস্তুদের জন্য ৮০০টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে এখানে।
বিগত সরকারের আমলেই পুনর্বাসন প্রকল্পের চেনা ছক ছেড়ে বেসরকারি লগ্নির দিকে হাত বাড়িয়েছিল রাজ্য। বনহুগলিতে ১৯৫০ থেকে বাস করছেন ওপার বাংলার ছিন্নমূল ৮০০টি পরিবার। সরকারি অর্থে তৈরি মাথার ছাদ বহুদিন আগেই বেহাল। ২০০৬-এ বি টি রোডের উপরে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের প্রায় ১৮ একর জমিতে বেসরকারি লগ্নিতে আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এর পরে প্রায় ৮ বছর কেটেছে। সরকারি লালফিতের ফাঁসে আটকে যায় প্রকল্পের কাজ। পাশাপাশি ভাঙাচোরা বাড়ির মায়া কাটিয়ে অন্যত্র সরতে আপত্তি জানান কিছু আবাসিকও। ১৬৬টি পরিবার ১০ লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরে যায়। অধিকাংশ আবাসিকই অবশ্য পুরনো জায়গা ছাড়তে চাননি।
এ বার সেই সব সমস্যার সমাধানসূত্র মিলেছে বলে জানিয়েছেন উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁর দাবি, প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরে প্রকল্প শুরুর ক্ষেত্রে আর বাধা নেই। সরকারি সূত্রের খবর, প্রকল্পের নকশা আগেই অনুমোদন পেয়েছে। এটি তৈরি করছে বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা সিদ্ধা ও ইডেন রিয়্যালটি। উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের দাবি, পুনর্বাসনের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করতে দু’বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বনহুগলিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার অনুষ্ঠানে মঞ্জুলকৃষ্ণবাবু ছাড়াও ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র, সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায়।
এই জমির জন্য বিগত সরকারের আমলে রাজ্য পেয়েছে ২১.৩৬ কোটি টাকা। উদ্বাস্তুদের জন্য আবাসন তৈরির পরে বাকি জমিতে তৈরি হবে বেশি দামের ২৫টি ১৬ তলা উঁচু বহুতল। গোটা প্রকল্পের আর্থিক লাভ তুলতে বেসরকারি সংস্থা বাজার দরেই বিক্রি করবে বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy