Advertisement
০২ মে ২০২৪

সান ফার্মা, র‌্যানব্যাক্সির শেয়ার লেনদেনের তথ্য চাইল সেবি

র‌্যানব্যাক্সি কিনতে সান ফার্মা রাজি, এই খবর আগাম জেনে সংস্থা দু’টির শেয়ার কেনা-বেচায় কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার দেশের শেয়ার বাজারগুলির কাছ থেকে ওই দুই ওষুধ সংস্থার গত কয়েক দিনের লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে তারা। গত ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যানব্যাক্সির শেয়ার দর প্রায় ২৬% উঠেছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৭
Share: Save:

র‌্যানব্যাক্সি কিনতে সান ফার্মা রাজি, এই খবর আগাম জেনে সংস্থা দু’টির শেয়ার কেনা-বেচায় কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার দেশের শেয়ার বাজারগুলির কাছ থেকে ওই দুই ওষুধ সংস্থার গত কয়েক দিনের লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে তারা।

গত ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত র্যানব্যাক্সির শেয়ার দর প্রায় ২৬% উঠেছে। ঠিক তার পরই ৭ এপ্রিল ৩২০ কোটি ডলারে (প্রায় ১৯,২০০ কোটি টাকা) সংস্থাটিকে কিনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে সান ফার্মাসিউট্যিালস। সংস্থা বিক্রির ঠিক আগে র্যানব্যাক্সির দরের এই উত্থানই সন্দেহ তৈরি করেছে অনেক লগ্নিকারীর মনে। যে কারণে সেবি-র কাছে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে ব্রোকার, বিভিন্ন ফান্ড সংস্থা, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা, বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ইত্যাদি। যার ভিত্তিতে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ-সহ বিভিন্ন শেয়ার বাজার এবং ক্লিয়ারিং সংস্থা থেকে দু’টি সংস্থারই শেয়ার লেনদেনের নথি তলব করা শুরু করেছে সেবি। পাশাপাশি, সংস্থা দু’টির কাছ থেকে হস্তান্তর সংক্রান্ত বাড়তি তথ্যও চেয়ে পাঠাতে পারে তারা। তবে অনিয়মের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সান ফার্মা। সংস্থার চেয়ারম্যান দিলীপ সাঙ্ঘভি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও চিন্তিত। যদিও এ ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়নি বলেই তাঁর ধারণা। র্যানব্যাক্সি অথবা শেয়ার বাজারগুলি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি।

এ দিকে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে থেকেই শেয়ার বাজারগুলির কাছে দুই ওষুধ সংস্থার এই চুক্তির খবর ছিল। পাশাপাশি, সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা শাখা সংস্থাগুলিও এই চুক্তি সম্পর্কে আগাম জানতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেআইনি ভাবে হস্তান্তরের গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে পারে সেবি। দেখা হতে পারে সান ফার্মার শাখা সংস্থা সিলভারস্ট্রিট ডেভেলপার্স-এর ভূমিকা। কারণ, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যানব্যাক্সিতে তাদের কোনও শেয়ার না থাকলেও, তার পর থেকে ধাপে ধাপে তা ১.৬৪ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে সংস্থাটি। আবার এই সিলভারস্ট্রিট ডেভেলপার্সেরই অন্যতম অংশীদার সান ফার্মা কর্তা দিলীপ সাঙ্ঘভির আত্মীয় সুধীর ভি ভালিয়া। তবে এ দিন এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে সান ফার্মা। তাদের দাবি, সিলভারস্ট্রিটের সঙ্গে ভালিয়া কোনও ভাবে যুক্ত নন। সিলভারস্ট্রিটের দুই অংশীদারই সান ফার্মার শাখা সংস্থা। ফলে এ ক্ষেত্রে পুরো সুবিধা পাবে তারাই, অন্য কেউ নয়।

অন্য দিকে, র্যানব্যাক্সি কেনার পর সংস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করছে সান ফার্মা। সে ক্ষেত্রে মার্কিন মুলুকে র্যানব্যাক্সির নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে ওষুধ রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। মার্কিন বাজারে ইতিমধ্যেই ওষুধের মান নিয়ে সমস্যায় পড়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে ভারতে তাদের চারটি কারখানা থেকেই মার্কিন মুলুকে রফতানি বন্ধ রয়েছে। আগামী দিনে তা পুরোপুরি বন্ধ করে, সংস্থার ওষুধকে সান ফার্মার ব্র্যান্ডের আওতায় আনা হতে পারে। ইউরোপেও র্যানব্যাক্সি -র পঞ্জাব এবং মধ্যেপ্রদেশের কারখানা থেকে রফতানি বন্ধ থাকছে, জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক ইউরোপীয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ranbaxy sunpharma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE