Advertisement
০২ মে ২০২৪

স্যামসাং কর্তাকে ভারতের আদালতে হাজিরার নির্দেশ

জালিয়াতিতে অভিযুক্ত স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন-হিকে গাজিয়াবাদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার এই নির্দেশ দিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ জন্য তাঁকে ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লি আদালতে এসে জামিনের আবেদন করতে এবং ভবিষ্যতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চাইতে পারবেন।

লি কুন-হি

লি কুন-হি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও সোল শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৫৪
Share: Save:

জালিয়াতিতে অভিযুক্ত স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন-হিকে গাজিয়াবাদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার এই নির্দেশ দিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ জন্য তাঁকে ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লি আদালতে এসে জামিনের আবেদন করতে এবং ভবিষ্যতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চাইতে পারবেন। এই ছ’সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে না বলেও রায় দিয়েছে আদালত।

এ দিকে, এই মামলার সঙ্গে লি-র কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে স্যামসাং। লি-র বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই বলেও দাবি তাদের। বরং এই পুরো বিষয়টিকে স্যামসাঙের দুবাইয়ের শাখা সংস্থার বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলেই জানিয়েছে তারা। মামলার সঠিক বিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারবুদ্ধির উপরই আস্থা প্রকাশ করেছে স্যামসাং। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে লি ভারতের আদালতে হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটি।

প্রায় এক দশক ধরে চলা এই ঝামেলায় লি-র বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ ডলার (প্রায় ৮.৪ কোটি টাকা) জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল ভারতীয় সংস্থা জেসিই কনসালট্যান্সি। জেসিই-র দাবি ছিল, ২০০১-’০২ সালে তারা স্কাই ইম্পেক্স সংস্থার কাছে পণ্য সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করে। সেই পণ্য দুবাইয়ে স্যামসাং গাল্ফ ইলেকট্রনিক্সের কাছে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে ফৌজদারি মামলা করে জেসিই জানায়, তখনও পর্যন্ত পণ্য সরবরাহের জন্য কোনও টাকা পায়নি তারা। এ জন্য স্যামসাং এবং ৭২ বছর বয়সী লি-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গাজিয়াবাদের আদালতেও যায় তারা। সেখানে ২০১২ সালে বিরুদ্ধে লি-র জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গাজিয়াবাদ আদালত।

এর পর সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন লি। কিন্তু সেখানেও সুরাহা হয়নি। উল্টে সেই আবেদন খারিজ করে তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে হাইকোর্ট। স্যামসাং গত বছর সুপ্রিম কোর্টে গেলে, সেখানে আগের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত সোমবার হাজিরার এই নির্দেশ দিল বিচারপতি সি কে প্রসাদ এবং বিচারপতি পি সি ঘোষের বেঞ্চ। তবে এই নির্দেশকে কোনও ভাবেই যেন বিচার আদালতে চলা এই মামলার গুরুত্ব নিয়ে শীর্ষ আদালতের অভিমত বলে না ধরা হয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দুই বিচারপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

samsung chairman supreme court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE