দুর্ঘটনায় মৃত মহম্মদ উবেদ হুসেন এবং মহম্মদ সাহিল খান। —নিজস্ব চিত্র।
শহরে ফের গতির বলি দুই যুবক! লেক গার্ডেন্স, উল্টোডাঙার পর এ বার এজেসি বোস রোডে বেপরোয়া ভাবে স্কুটি চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মহম্মদ সাহিল খান (২০) এবং মহম্মদ উবেদ হুসেন (১৮)। তাঁরা নারকেলডাঙার বাসিন্দা ছিলেন। আহত আর এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই স্কুটিটি একবালপুর থেকে মৌলালীর দিকে যাচ্ছিল। সে সময় আরও অনেক মোটরবাইকই সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তাঁদের সঙ্গেই রেস করছিল স্কুটিটি।
আরও পড়ুন
হেলমেট-বার্তাতেও ফিরল না হুঁশ
প্রবল বৃষ্টির কারণে এমনিতেই জল জমে ছিল শহরের রাস্তায়। এই অবস্থাতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে বেপরোয়া ভাবে স্কুটি চলছিল। চালক-সহ স্কুটিতে তিন জন ছিলেন। তাঁদের মাথাতেই হেলমেট ছিল না। রাত দেড়টা নাগাদ পার্ক ক্লিনিকের কাছে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় হঠা়ৎই স্কুটির চাকা পিছলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন স্কুটির আরোহীরা।
আরও পড়ুন
ফের উল্টোডাঙা, গাড়ি পিষে দিল যুবককে, রাতভর অবরোধ
দুর্ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা। তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সাহিল এবং উবেদ হুসেনের। আহত যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সম্প্রতি উল্টোডাঙ্গা, লেক গার্ডেন্স এবং এজেসি বোস— এই তিনটি দুর্ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে, বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাচ্ছিলেন আরোহীরা। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। প্রত্যেকেই যুবক বা কিশোর। বছর কয়ের ধরেই পুলিশ-প্রশাসন ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর মতো সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি-বাইক না চালানোর জন্যও বার বারই বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি হেলমেট ছাড়া পেট্রল পাম্পেও জ্বালানি তেল না দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাস্তায় বড় বড় হোর্ডিং করে ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তার পরেও যে বাইক আরোহীদের হুঁশ ফিরছে না ফের তার প্রমাণ মিলল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy