Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Cheating

পোশাকের বরাত দিয়ে প্রতারণা, ধৃত ৩

ধৃতদের বুধবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৯
Share: Save:

জিনসের বরাত দিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। বরাত অনুযায়ী ১৮ লক্ষ টাকার জিনসও তাঁরা নিয়ে যান। কিন্তু টাকা দেননি। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করল লেক টাউন থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম হাবিব আলম (৪৪), মহম্মদ আফতাব (২৯) এবং মীর মহম্মদ হোসেন (৩০)। ধৃতদের বুধবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামসুদ্দিন মোল্লা নামে এক পোশাক ব্যবসায়ী লেক টাউন থানায় অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সঞ্জু এবং মহম্মদ আফতাব নামে দুই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে ১৮ লক্ষ টাকার জিনসের বরাত দেন। সেই অনুসারে ২৯ জানুয়ারি লেক টাউনের একটি ঠিকানায় সব জিনস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে তাঁরা সামসুদ্দিনকে ফোন করে বড়বাজারের একটি ঠিকানায় গিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। টাকা নিতে যাওয়ার সময়ে সামসুদ্দিনের সঙ্গে অভিযুক্ত সঞ্জু একই গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তিনি মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে উধাও হয়ে যান। এমনকি, তাঁর মোবাইলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেখানে পোশাক পাঠানো হয়েছিল, লেক টাউনের সেই ঠিকানায় গিয়েও সামসুদ্দিন কাউকে পাননি।

তদন্তে নেমে লেক টাউন থানার পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, চুরি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় জানা গিয়েছে, সঞ্জুই জিনসের বরাত দিয়েছিলেন। যদিও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বড়বাজার ও বিহারে ইতিমধ্যেই ওই জিনস বিক্রি করে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ধৃতেরা। তাঁরা লেক টাউনের একটি বাড়ি ভাড়া করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

তদন্তকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, বিক্রেতারা জানতেন ধৃতেরা পোশাকের ব্যবসা করেন। তাই ফোনে কথা বলেই বড় অঙ্কের পোশাক তাঁরা পাঠিয়ে দেন। অগ্রিম টাকা চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cheating Jeans
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE