Advertisement
১১ মে ২০২৪
Kolkata Police

টাকা তোলায় অভিযুক্ত ৪ পুলিশ, সাসপেন্ড

কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০১:১৯
Share: Save:

লকডাউনের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং আনাজ-মাছ-মাংসের জোগান স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এমন কয়েকটি পণ্যের গাড়ি থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের চার কর্মীর বিরুদ্ধে। নবান্নের অদূরে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজায়, গত শুক্রবার রাতের ঘটনা। অভিযোগ পাওয়ার পরে শনিবার লালবাজার ঘটনার তদন্তে নামে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চার জনকে চিহ্নিত করা হয়। সে দিনই ওই চার কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’’ তবে কী অভিযোগ, তা নিয়েও বিস্তারিত বলতে চাননি পুলিশকর্তারা। লালবাজারের এক কর্তা জানান, সাসপেন্ড করার পাশাপাশি চার জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সাসপেন্ড হওয়া ওই পুলিশকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ডের মন্দিরতলা ফাঁড়ি এবং হেস্টিংস থানার বিদ্যাসাগর ফাঁড়ির এএসআই, ডিসি (সাউথ)-এর রিজার্ভ অফিসের এএসআই এবং মন্দিরতলা ফাঁড়ির এক কনস্টেবল।

সংক্রমণের জেরে দেশজোড়া লকডাউনে নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই জরুরি পরিস্থিতির মধ্যেও বাজার-দোকান যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে লালবাজার। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা লালবাজারের সম্মানহানি করেছেন বলেই মনে করছেন বাহিনীর অনেকে। কেউ কেউ এ-ও বলছেন, বাহিনীর বাকি সদস্যেরাও যাতে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেন, তা-ও নিশ্চিত করা উচিত শীর্ষ কর্তাদের।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজ়ায় ডিউটি করছিলেন অভিযুক্তেরা। সে সময়েই মুরগিবোঝাই গাড়ি এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। শনিবার এক ব্যবসায়ী লালবাজারের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কাছে অভিযোগ জানান। এর পরেই ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার এবং ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদকে ঘটনাটি তদন্ত করতে বলা হয়। দুই পদস্থ আধিকারিক একটি দল তৈরি করে ওই টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেই
ফুটেজে অভিযোগের সারবত্তা মেলার পরে সে দিনই সাসপেন্ড করা হয় ওই চার জনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Police Bribe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE