প্রতীকী ছবি।
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও এক শ্রেণির চালকের যে হুঁশ ফিরছে না তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে লাগাতার পথ দুর্ঘটনা। শুক্রবার রাতেও রেস করতে গিয়ে দু’টি বেপরোয়া মোটরবাইক সজোরে ধাক্কা মারে একটি গাড়িকে। ঘটনায় আহত হন মোট ন’জন। দুই মোটরবাইক চালক অমিতকুমার সিংহ ও সত্যম চৌধুরী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। গাড়ি ও দুই মোটরবাইকের আরোহী মিলিয়ে বাকি সাত জনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জনিয়েছে, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ইএম বাইপাসের ঢালাই ব্রিজ থেকে পাটুলি মোড় হয়ে ডান দিকে বাঁক নিচ্ছিল একটি গাড়ি। তাতে গাড়িচালক কল্যাণ সেন ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী কুমকুম সেন এবং আরও তিন আত্মীয় শর্মিষ্ঠা সেন, অর্জুন রক্ষিত ও শর্মিলা রক্ষিত। তখনই সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও উল্টো দিক থেকে দু’টি মোটরবাইক সজোরে এসে গাড়িটিকে আড়াআড়ি ভাবে ধাক্কা মারে। এর পরেই ছিটকে পড়ে যান বাইকচালক অমিত ও সত্যম। একটি মোটরবাইক গাড়ির জানলার কাচ ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। আহত হন গাড়ির চালক–সহ পাঁচ যাত্রী। অমিতের মোটরবাইকে ছিলেন অর্পিতা রায়চৌধুরী এবং সত্যমের বাইকে বসেছিলেন অনিমেষ সিংহ। তাঁরাও জখম হন।
গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা সকলকে উদ্ধার করে ই এম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কল্যাণবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই মোটরবাইক চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মামলা দায়ের করেছে। আটক করা হয়েছে বাইক দু’টি। লালবাজারের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘দু’টি বাইকে ছিলেন মোট চার জন। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে একটি মাত্র হেলমেট উদ্ধার হয়েছে।’’ ওই কর্তা জানান, হেলমেটটি আদৌ কারও মাথায় ছিল কি না সন্দেহ রয়েছে। সাধারণত হেলমেট থাকলে তা মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানের বাসিন্দা অমিতকুমার সিংহ ও অনিমেষ সিংহ দু’ভাই। তাঁরা পড়াশোনার সূত্রে গড়িয়া এলাকায় থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy