Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আবার অটোর দাদাগিরি, চালকের হাতে ‘প্রহৃত’ যাত্রী

ফের শহরের রাস্তায় অটোচালকের দাদাগিরি। এ বার গড়িয়াহাটে।পুলিশ জানায়, রবিবারের ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়াহাট থানার বিজন সেতুর কাছে। বেপরোয়া মনোভাবের প্রতিবাদ করায় অটোচালকের হাতে আক্রান্ত হলেন গরফার এক ব্যক্তি।

জখম শান্ত সাহা

জখম শান্ত সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৭
Share: Save:

ফের শহরের রাস্তায় অটোচালকের দাদাগিরি। এ বার গড়িয়াহাটে।

পুলিশ জানায়, রবিবারের ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়াহাট থানার বিজন সেতুর কাছে। বেপরোয়া মনোভাবের প্রতিবাদ করায় অটোচালকের হাতে আক্রান্ত হলেন গরফার এক ব্যক্তি। জখম ওই ব্যাক্তির নাম শান্ত সাহা। তিনি গরফার রামলালবাজারের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত অটোচালকের খোঁজ মেলেনি।

মাস কয়েক আগে অটোচালকদের দাদাগিরির শিকার হয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ মন্ত্রী ও তাঁর রক্ষীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল নিউ মার্কেটের কিছু অটোচালকের বিরুদ্ধে৷ মির্জা গালিব স্ট্রিটে খাদ্য ভবনের মূল ফটক আটকে দাঁড়িয়ে থাকা অটো সরাতে বলে চালকদের রোষানলে পড়েছিলেন মন্ত্রী। এ বার অবশ্য অটোচালকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সপরিবার চিড়িয়াখানা থেকে রামলালবাজারের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই ব্যাক্তি। রাসবিহারী মোড়ে বাস থেকে নামার পরে অটো করে পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে বিজন সেতু অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছন শান্তবাবু। সেখান থেকে রামলালবাজারের অটো ধরার কথা তাঁর। পুলিশের কাছে ওই ব্যাক্তির অভিযোগ, তিনি প্রথমে একটি অটোতে মেয়ে এবং স্ত্রীকে তুলে দেন। পিছনের একটি অটোতে নাতিকে নিয়ে ওঠার সময়ে অন্য একটি অটো খুব দ্রুত বেপরোয়া ভাবে তাঁদের দিকে চলে আসে। শান্তবাবুর অভিযোগ, খুব অল্পের জন্য ওই অটোর ধাক্কার হাত থেকে রেহাই পান তিনি এবং নাতি। তা নিয়ে প্রতিবাদ করে সামনের আটোটিতে উঠতে যান।

পুলিশ জানায়, কেন তিনি প্রতিবাদ করেছেন এই অভিযোগ করে সামনের অটোচালক শান্তবাবুকে অটো থেকে নেমে যেতে বলেন। শান্তবাবু তাঁর কথা মানতে অস্বীকার করায় ওই চালক প্রথমে দুর্ব্যবহার করেন। বচসার মধ্যেই অভিযুক্ত ওই চালক তাঁর চোখ লক্ষ্য করে ঘুষি মেরে এলাকা ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অন্য অটোচালক এবং এলাকার বাসিন্দারা ওই ব্যাক্তিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মুখের ক্ষতস্থানে দু’টি সেলাই করা হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কসবা-রামলালবাজার রোডের অটোচালক। তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি-র ফুটেজ। পুলিশ জানিয়েছে, ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ অটোচালকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের। সেই সঙ্গে কখনও খুচরো নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া আবার কখনও দাদাগিরি৷ বেপরোয়া অটো দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য সরকার। অটো নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ অটো–নীতিও গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। তা সত্ত্বেও যে শহরের রাস্তায় চলাচলকারী বেপরোয়া অটোচালকদের বাগে আনা যায়নি, তা রবিবারের ঘটনা থেকে পরিষ্কার বলে পুলিশের একাংশের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

auto driver
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE