Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

খাতা লুটে চিহ্নিত ধরা পড়েছিল আগেও

‘অ্যাটেন্ডেন্স’ খাতা লুটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সনু চৌধুরী, আকাশ সিংহ, রোহিত নন্দী এবং সুরজিৎ ঘোষ নামে চার পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছেন জয়পুরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। এঁদের মধ্যে রোহিত এবং সুরজিৎকে শো-কজ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

নীলোৎপল বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৩
Share: Save:

এক জন সান্ধ্য বিভাগের ছাত্র সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক। আর এক জন সান্ধ্য বিভাগেই বিকম প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। এঁকেই আবার তরুণী হেনস্থার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বাকি দু’জন দিবা বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

‘অ্যাটেন্ডেন্স’ খাতা লুটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সনু চৌধুরী, আকাশ সিংহ, রোহিত নন্দী এবং সুরজিৎ ঘোষ নামে চার পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছেন জয়পুরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। এঁদের মধ্যে রোহিত এবং সুরজিৎকে শো-কজ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় এ দিনও কিছু বলতে চাননি। শিক্ষক অনিলকুমার সাহা বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ এখনও দেখা চলছে। রোহিত এবং সুরজিৎকে শো-কজ করেছি আমরা। পুলিশকেও ওদের নাম জানিয়েছি। ফুটেজে আকাশ এবং সোনুকেও দেখা গিয়েছে। ওদেরও শো-কজ করা হবে।’’

চয়েস বেস্ড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) চালু হওয়ার পরে হাজিরার কড়াকড়ি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে বেশ কয়েকটি কলেজে। গত শনিবার দুপুরে টিচার্স রুম থেকেই লুট হয়ে যায় অন্তত ২০টি হাজিরা খাতা। এক শিক্ষক জানান, খাতা নিয়ে যাওয়ার সময় পড়ুয়াদের উল্লাস কলেজের ২৪টি সিসি ক্যামেরার বেশ কয়েকটিতে ধরা পড়েছে।

সন্দেহভাজনদের মধ্যে আকাশের বিরুদ্ধে গত বছর শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় এক তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। আকাশ গয়না লুট করার জন্য মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। আকাশ এখন জামিনে মুক্ত। তিনি কলেজের নিয়মিত ছাত্র নন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ দিন ফোন করা হলে আকাশ বলেন, ‘‘কলেজে ছিলাম ঠিকই। তবে হাজিরা খাতা নিইনি। আমায় ফাঁসানো হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগকারী তরুণী মিথ্যা বলেছিলেন। দোষ নেই বলেই জামিন পেয়েছি! কলেজের নিয়মিত ছাত্র আমি। অধ্যক্ষকে প্রমাণ পাঠিয়েছি।’’

সনু কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতা হিসেবেই পরিচিত। সান্ধ্য বিভাগের এই পড়ুয়া এখন ছাত্র সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক। সনু বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় বসতে পারছে না। ওদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার কলেজে গিয়েছিলাম। খাতা নেওয়ার ঘটনায় ছিলাম না।’’ যদিও এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘খাতা হাতে পেয়ে সনু আনন্দে লাফাচ্ছিল। আমরা ফুটেজে দেখেছি।’’

শো-কজ করা প্রসঙ্গে রোহিত এ দিন বলেন, ‘‘ভিডিয়োয় নাকি আমায় দেখা গিয়েছে। কলেজ যা জানতে চেয়েছে, জানিয়েছি। টিচার্স রুমে গেলেও খাতা নিইনি।’’ আর সুরজিতের বক্তব্য, ‘‘কলেজই খাতা হারিয়ে ফেলে আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। ক্লাস না করিয়ে স্যারেরা এখন অ্যাটেন্ডেন্স চাইছেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE