—ফাইল চিত্র।
সল্টলেকে বিএসএনএলের নোডাল সেন্টারে সোমবার রাতের আগুনে ওড়িশা বাদে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোবাইলের প্রি-পেড পরিষেবা কয়েক ঘণ্টার জন্য বিঘ্নিত হয়েছিল। আগুন নিভলেও মঙ্গলবার কেন্দ্রটি চালু হয়নি। ফলে বিকল্প পথেই পরিষেবা চালু রাখে বিএসএনএল।
সংস্থা সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা চলে। পাশাপাশি, সব জায়গা থেকে ফোনের বিল সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে বিল তৈরি হয়। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ জানান, আগুন লেগেছিল দোতলায় ট্রান্সমিশনের ঘরে। দমকল তা ছড়িয়ে পড়তে না দেওয়ায় সার্ভার ও বিল তৈরির ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রটি চালু করা হয়নি।
ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ‘‘আশা করছি, আজ, বুধবার কেন্দ্রটি চালু করা যাবে।’’ তিনি জানান, চণ্ডীগড়ের বিকল্প সার্ভারের মাধ্যমে সব মোবাইলের ‘ডেটা’ পরিষেবা চলছে। ফোনের পরিষেবা চলছে ওড়িশার মাধ্যমে। আন্দামান-নিকোবরে মোবাইল ডেটা পরিষেবা চললেও এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রিপেড পরিষেবা বন্ধ।
এ দিকে, ২৪ ঘণ্টা পরেও কটু এবং পোড়া গন্ধ এলাকায় রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়েরা। ফলে ওই অফিসের আশপাশে পূর্বাচল, ফাল্গুনী, শ্রাবণী আবাসন, এইচএ, এফসি এবং এফডি ব্লকের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দমকলের আধিকারিকেরা এবং বিধাননগর পুলিশের তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে যান। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, এ দিন দমকলের তরফেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে।
সংস্থা সূত্রের খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা এবং একটি শীতাতপ যন্ত্র নিয়ে গিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সল্টলেক কেন্দ্রে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফায়ার এবং সেফটি অডিট করাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy