পোড়া: আগুন নিভে যাওয়ার পরে বাগড়ি মার্কেট। শুক্রবার। ছবি: সুমন বল্লভ
বিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের কোনও আশার আলো দেখছেন না বাগড়ি মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০টি দোকান। অর্ধেক পুড়ে যাওয়া দোকানের সংখ্যা প্রায় ২৫টি। তাপে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আরও প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি দোকানের ওষুধ। সব মিলিয়ে বহু কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি
ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ক্ষতিপূরণ? বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম নেতা চন্দ্রেশ সাংভির কথায়, ‘‘এই মার্কেটের ওষুধের দোকানের মাত্র পাঁচ শতাংশের বিমা রয়েছে। মূলত যে ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন তাঁরাই বিমা করিয়েছিলেন। বাকিরা বিমার আওতায় নেই।’’
ওই বাজারের এক ওষুধ ব্যবসায়ী অভিষেক সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমার দোকানে আগুনের আঁচ পড়েনি। কিন্তু তাপে ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সব ওষুধই বাতিল বলে গণ্য করা হচ্ছে। প্রস্তুতকারক সংস্থা যদি ওষুধ ফেরত না নেয়, তা হলে আমারও একই অবস্থা। ওই ওষুধ ছাইয়ের সমান।’’ কিন্তু বিমা করেনি কেন? অভিষেকের কথায়, ‘‘১৯৬৬ সাল থেকে পৈতৃক ব্যবসা। এই বাজারে কোনও দিন আগুন ধরতে পারে, ভাবতেও পারিনি।’’ কয়েক লক্ষ টাকার ওষুধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি অভিষেকের।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বক্স থেকেই কি আগুন, তদন্তে ফরেন্সিক
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, ওই সব বাজারে সাধারণত ‘ফায়ার ইনসিওর্যান্স’ করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পরেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে। বাগড়ির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সব দোকানই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করার পরে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, ওই দিন আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরে দমকল প্রচুর পরিমাণেই জল দিয়েছে। ফলে কোন দোকান ছাই হয়ে গিয়েছে আর কোন দোকান অর্ধেক পুড়েছে— তার বিচার করবে কে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy