Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাঙচুরের প্রতিবাদে গড়িয়ায় বন্ধ বাস

শনিবার গভীর রাতে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ৩০-৩২টি বাসে একদল দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

ক্ষতিগ্রস্থ বাস।—নিজস্ব চিত্র।

ক্ষতিগ্রস্থ বাস।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০১:০৭
Share: Save:

বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে রবিবার দিনভর গড়িয়া থেকে কলকাতার চারটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকল।

শনিবার গভীর রাতে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ৩০-৩২টি বাসে একদল দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এলোপাথাড়ি বাসের কাচ ভাঙা ছাড়াও ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা বাসকর্মীদের কয়েক জনকে মারধর করে টাকাকড়ি কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকালে গড়িয়া থেকে পাইকপাড়া ও বাগবাজারগামী দু’টি রুট এবং গড়িয়া থেকে ল্যান্সডাউন এবং ঢাকুরিয়া হয়ে হাওড়া যাওয়ার দু’টি মিনিবাসের রুট বন্ধ রাখেন কর্মী এবং চালকেরা। দিনভর চারটি রুটের ৮০টির বেশি বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাস মালিকেরা জানাচ্ছেন, বহু বছর ধরেই রাতে ওই স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। কর্মীদের অনেকেই বাসেই ঘুমোন। অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও রাতের ট্রিপ শেষ করে স্ট্যান্ডে বাস গ্যারাজ করে চালকদের অনেকেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বেশি রাতে ট্রিপ শেষ করা কয়েকটি বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরেরা ভাড়ার টাকার হিসেব-নিকেশ করছিলেন। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা ৬-৭ টি বাইকে করে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী এসে লাঠি দিয়ে, পাথর ছুঁড়ে এলোপাথাড়ি বাসের কাচ ভাঙতে থাকে। কয়েক জন বাসচালক এবং কন্ডাক্টর বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের মারধরও করা হয়। গড়িয়া স্টেশন-পাইকপাড়া রুটের একটি বাসের কন্ডাক্টর প্রশান্ত দে বলেন, ‘‘আচমকা কয়েক জন এসে কাচ ভাঙতে শুরু করল। সকলের মুখ বাঁধা থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি।’’

বাসচালকদের অভিযোগ, ৭-৮ টি বাসে উঠে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ১৫-১৬ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীদের দলটি। এর মধ্যে পাইকপাড়াগামী একটি বাসের কন্ডাক্টরের কাছ থেকে ছ’হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সকালে ঘটনাস্থলে যান সোনারপুর পুরসভার ওই এলাকার কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। ঘটনার জন্য বাসমালিকদের একাংশ রাজনৈতিক রেষারেষির দিকে ইঙ্গিত করলেও কাউন্সিলর অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন পাপিয়া বলেন, ‘‘ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েছি। তবে কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence Bus Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE