—ফাইল চিত্র
স্নাতকোত্তর স্তরে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিকাল ক্লাস করার অনুমতি দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, কলেজগুলিকে অনুমতি কেন দেওয়া হল না? যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে কবে নির্দেশ মিলবে?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের বিভাগীয় প্রধানদের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্লাস শুরু করে দিতে পারেন তাঁরা। যে সমস্ত বিভাগ প্র্যাক্টিকাল ক্লাস করাতে চায়, তারা ইচ্ছুক পড়ুয়াদের নিয়ে ছোট ছোট ব্যাচে ক্লাস শুরু করতে পারে। এর আগে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চালু করা হোক বলে দাবি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (কুটা)। পড়ুয়াদের ব্যাচে ভাগ করে আলাদা আলাদা দিনে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চালু হোক— এমনটাই চেয়েছিল তারা। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল তাদের তরফে।
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার জানালেন, তাঁর কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে বেশ কিছু বিষয় পড়ানো হয়। কিন্তু স্নাতকোত্তর স্তরে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস করানোর কোনও নির্দেশ মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে আসেনি। শিউলি বললেন, ‘‘স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর— দু’টিতেই প্র্যাক্টিকাল ক্লাস শুরু হওয়া খুব জরুরি। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরাও তা চাইছেন।’’ বেহালার বড়িশা বিবেকানন্দ কলেজ ফর উইমেনে স্নাতকোত্তর স্তরে ভূগোল এবং বাংলা পড়ানো হয়। ভূগোলের প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চালুর কোনও নির্দেশ পাননি বলেই জানালেন অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘প্র্যাক্টিকাল ক্লাসের কোনও কিছুই শিখছে না ছাত্রীরা। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, দুই স্তরেই প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চালু হওয়া প্রয়োজন।
মৌলানা আজাদ কলেজের তিনটি স্নাতকোত্তর বিষয়ের মধ্যে প্রাণিবিদ্যায় প্র্যাক্টিকাল ক্লাস হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এখনও পাননি বলে জানালেন অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘অনুমতি দিলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর— সব স্তরেই দেওয়া উচিত। প্র্যাক্টিকালের বিষয়গুলি কোনও পড়ুয়াই শিখছে না।’’
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ অবশ্য অনুমতির তোয়াক্কা করেনি। অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বললেন, ‘‘ছোট ছোট ব্যাচে করোনার স্বাস্থ্য-বিধি মেনে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি।’’ পুরো বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy