প্রতীকী ছবি
পুলিশের নাগাল এড়াতে ২৫ বার সিম বদল করেছিল প্রতারক। বাড়ির আশপাশে বসিয়েছিল সিসি ক্যামেরা। তাকে ধরতে পুরসভার নিকাশি কর্মীর ছদ্মবেশ নিতে হয়েছিল পুলিশকে। সারা রাত অপেক্ষার পরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রতারককে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বড়বাজার থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল হাওড়ার গোলাবাড়ির বাসিন্দা সৌমেন বসু। গত ২৯ ডিসেম্বর হুগলির নূপুর সমাদ্দার বড়বাজার থানায় সৌমেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়েছে সৌমেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মাস তিনেক আগে বড়বাজার থানার একটি দল সৌমেনের বাড়িতে হানা দিলেও তার নাগাল পায়নি। পিছনের দরজা দিয়ে পালায় সে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশকে এড়াতে ঘনঘন সিম বদল করা ছাড়াও বাড়ির চারপাশে ৪টি সিসি ক্যামেরাও বসিয়েছিল সৌমেন। যে কারণে মাস তিনেক আগে সিসি ক্যামেরায় পুলিশকে আসতে দেখেই পিছনের দরজা দিয়ে চম্পট দেয় সে।
বুধবার বিকেলে পুরসভার কর্মী সেজে, মুখে মাস্ক পরে সৌমেনকে ধরতে ফের তার বাড়িতে যায় পুলিশ। বাড়ির আশেপাশে সারা রাত পাহারা দিয়েও সৌমেনের দেখা মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে যখন সৌমেন পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে যাচ্ছিল, তখন তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। আজ, শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
তদন্তকারীরা জানান, এর আগে প্রতারিতেরা সৌমেনের খোঁজে বাড়িতে এলে পরিবারের তরফে জানানো হত যে, ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, এ জন্য প্রতারক নিজের স্ত্রীকে দিয়ে গোলাবাড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করিয়ে রেখেছিল। বড়বাজার থানার এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ রকম প্রতারক জীবনে দেখিনি। সে বহু যুবক-যুবতীর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy