Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata News

রেড রোড গাড়ি-কাণ্ডের রায় কাল, এক বছরে শেষ বিচার প্রক্রিয়া

তদন্তে জানা যায় ওই ঘাতক গাড়িটি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন বিধায়ক এবং বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী মহম্মদ সোহরাবের ছোট ছেলে তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়ার। সেই ছিল চালকের আসনে ছিলেন সাম্বিয়া। তার আগে সাম্বিয়ার দুই বন্ধু নূর আলম ওরফে জনি এবং শাহনওয়াজ ওরফে শানু অন্য একটি গাড়িতে ছিল।

সাম্বিয়া সোহরাব। —ফাইল চিত্র

সাম্বিয়া সোহরাব। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৫
Share: Save:

ঘটনার তিন বছরের মাথায় বুধবার রেড রোড কাণ্ডের রায় ঘোষণা করবে আদালত। তিন বছর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের কয়েকদিন আগে জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ রেড রোডে সেনাবাহিনীর মহড়া চলার সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রবল গতিতে রেড রোডে ঢুকে পড়ে একটি সাদা রঙের অডি কিউ-৭ গাড়ি।

সকাল ৬টা থেকে ৬টা১০ মিনিটের মধ্যে ঢুকে পড়া ওই বোপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান বায়ু সেনা কর্মী অভিমন্যু গৌড়। ওই বায়ু সেনা কর্মীকে ধাক্কা মেরে পালানোর সময় আরও একজন সেনা কর্মীকে ধাক্কা মেরে রেস কোর্সের কাছে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় ওই গাড়ির চালক এবং আরোহীরা।

পরবর্তী তদন্তে জানা যায় ওই ঘাতক গাড়িটি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন বিধায়ক এবং বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী মহম্মদ সোহরাবের ছোট ছেলে তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়ার। সেই ছিল চালকের আসনে। তার আগে সাম্বিয়ার দুই বন্ধু নূর আলম ওরফে জনি এবং শাহনওয়াজ ওরফে শানু অন্য একটি গাড়িতে ছিল।

আরও পডু়ন: অসুস্থ বাবাকে নিয়ে রাতভর দৌড় সাব-ইনস্পেক্টরের, সরকারি বিমা শুনেই মুখ ফেরাল ৪ হাসপাতাল

ঘটনার পর শানু এবং জনি সাম্বিয়াকে আশ্রয় দেয় এবং পালাতে সাহায্য করে বলে চার্জশিটে অভিযোগ জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। সাম্বিয়া মামলায় ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সাম্বিয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনে এবং ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার দুই বন্ধু জনি এবং শানুকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া এবং সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাম্বিয়ার বাবা মহম্মদ সোহরাবকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

২০১৭ সালের মে মাসে আদলত চার্জ গঠন করে। যদিও নিম্ন আদালত সাম্বিয়ার দুই বন্ধু এবং সাম্বিয়ার বাবাকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস করে দেয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কলকাতা পুলিশ এবং সেখানে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে জনি, শানু এবং সোহরাবের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় সাম্বিয়া ছাড়া বাকিরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। সাম্বিয়া এখনও জেলবন্দি।

আরও পড়ুন: মমতার ছবি কোটি টাকা দিয়ে কেনেন চিটফান্ড মালিকেরা, বললেন অমিত

সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় যা এক বছর ১৪ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়। সরকার পক্ষ মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছে। বুধবার সকালে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি মৌমিতা ভট্টাচার্য মামলার রায় ঘোষণা করবেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন দোষী স্যবস্ত হলে সাম্বিয়ার যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sambia Red Road Republic Day
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE