Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মজুত মালপত্র বার করতে বলল কোর্ট

সংস্থার আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে জানান, বিচারকের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁর মক্কেল তথা সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা বিশ্বজিৎ পাল মধ্যমগ্রামের কাচ কারখানা থেকে মজুত মালপত্র বার করতে পারছেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ ০২:২৬
Share: Save:

এক বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থাকে মজুত মালপত্র বার করতে দিতে আর্থিক অপরাধ দমন শাখাকে নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক কুমকুম সিংহ মামলার তদন্তকারীকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিচারকের নির্দেশ, মজুত করা জিনিস বিক্রির সঠিক হিসেব রাখতে হবে ‘ইএসবিআই অ্যান্ড কোম্পানিজ’ নামে ওই সংস্থাকে।

সংস্থার আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে জানান, বিচারকের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁর মক্কেল তথা সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা বিশ্বজিৎ পাল মধ্যমগ্রামের কাচ কারখানা থেকে মজুত মালপত্র বার করতে পারছেন না। মজুত মালপত্র বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মেটানোর শর্তেই ওই অধিকর্তা জামিন পেয়েছেন। সরকারি কৌঁসুলি তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, কোন পদ্ধতিতে জিনিস বার করা হবে, কত জিনিস বেরোচ্ছে, কত দামে বিক্রি হবে তা স্থির না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল।

গত ৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয় ওই অর্থলগ্নির সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা বিশ্বজিৎ পালকে। সংস্থাটির মূল ব্যবসা কাচ উৎপাদনের। গ্রেফতার হওয়ার পরে আইনজীবীর মাধ্যমে বিশ্বজিৎ জানান, কারখানায় উৎপাদন চালাতে দিলে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারবেন তিনি। কারণ, কারখানা নিলাম করে আমানতকারীদের সব টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না। তাঁর বক্তব্য, আনুমানিক ৫৫ কোটি টাকা ফেরাতে হবে তাঁকে। যদিও রাজ্যের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, আমানতকারীদের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে ওই সংস্থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

City Sessions Court private money invest company
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE