Advertisement
০৫ মে ২০২৪

কাউন্সিলর-নেতা বিবাদ চটকলে

চটকলে ঢোকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে হেনস্থা ও তাঁর লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। তবে ওই শ্রমিক নেতাও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে চটকলে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫০
Share: Save:

চটকলে ঢোকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে হেনস্থা ও তাঁর লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। তবে ওই শ্রমিক নেতাও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে চটকলে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। উভয় পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকী, চটকল কর্তৃপক্ষও বহিরাগতদের বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড়ের অম্বিকা চটকলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে স্থানীয় যুবক ও কয়েক জন পুরকর্মীকে নিয়ে চটকলে আসেন হাওড়া পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালী বিশ্বাস। অভিযোগ, সেই সময়ে চটকলের সংগ্রামী শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওই কাউন্সিলরকে হুমকি দেন। এর পরে তাঁর অনুগামী শ্রমিকরেরা চৈতালীদেবীকে হেনস্থা করে গেটের বাইরে বার করে দেন। পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গে থাকা মানিক ঘোষ ও দিলীপ হালদারকেও মারধর করে। চৈতালী বলেন, ‘‘জুট মিলের নিরাপত্তা আধিকারিক ডেকেছিলেন বলেই সাফাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে ঢুকেছিলাম। কিন্তু কেন বিশ্বজিতকে বলে যাইনি, তাই হুমকি দিয়ে মারধর-হেনস্থা করল।’’ পাশাপাশি চৈতালীদেবীর অভিযোগ, শ্রমিকদের থেকে প্রতি মাসে মোটা টাকা ‘তোলা’ আদায় করেন ওই শ্রমিক নেতা। না দিলে কাজ থেকেও বসিয়ে দেওয়া হয়।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বজিতবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কাউন্সিলরকে কেউ ডাকেননি। এলাকায় তোলাবাজ বলে পরিচিত কয়েক জন যুবককে নিয়ে মিলের ভিতরে ক্ষমতা দেখাতে ঢুকেছিলেন বলেই কাউন্সিলরের উপরে ক্ষেপে গিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। তাই কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। আর এখন আমার নামে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jute mill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE