দেখতে ব্যাঙ্কের পাঠানো মেসেজের মতো! ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে আসা সেই মেসেজে উল্লেখ রয়েছে প্রচুর ‘রিওয়ার্ড পয়েন্ট’ জেতার। সেই সঙ্গেই ওই মেসেজে পাঠানো হয়েছে একটি লিঙ্ক। কখনও লেখা থাকছে, রিওয়ার্ড পয়েন্টের সাহায্যে ব্যাঙ্কের ঋণ-সহ নানা সুবিধা পেতে লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। কখনও আবার এটিএম কার্ডের নম্বর লিখে পাঠাতে বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট নম্বরে।
ইদানীং এই ‘রিওয়ার্ড পয়েন্ট’ জেতার টোপ দিয়ে সাইবার প্রতারণার পর পর ঘটনা ঘটেছে শহরে। বিষয়টি নজরে আসার পরে ব্যাঙ্কগুলির তরফেও গ্রাহকদের সতর্ক করে মেসেজ পাঠানো শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মেসেজের সঙ্গে পাঠানো এই ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করে প্রতারিত হয়েছেন একাধিক জন। লালবাজারের তরফে এ বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকানোর নাম করেও সাইবার প্রতারণা চলছে শহরে। দিনকয়েক আগে এমনই ফোন পেয়েছিলেন সুখেন্দু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ফোন করে প্রথমে বলা হয়, তিন বছর ধরে গ্যাসের ভর্তুকির টাকা কেন পাইনি। এর পরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে গ্যাসের সংযোগকে যুক্ত করতে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সন্দেহ হওয়ায় গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করি। জানানো হয়, ওঁরা ফোন করেননি।’’
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘নতুন ধরনের সাইবার প্রতারণার সন্ধান পেলেই তদন্তের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও দল আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আমাদের তরফে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)