এবড়ো-খেবড়ো: সল্টলেকের আট নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। বুধবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
পুজো দোরগোড়ায়। কিন্তু রাস্তা মেরামতির নাম নেই। পুজোর আগে আদৌ তা মেরামত করা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ পুরকর্তারাই। এমনকি উৎসবের মরসুমে মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য প্যাচওয়ার্ক করা হবে কি না, তা নিয়েও ধন্দে পুরকর্তারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর আগে কলকাতার রাস্তা মেরামতিতে জোর দেওয়া হলেও বিধাননগর অবহেলিতই রয়ে গেল।
বিধাননগর পুরএলাকার রাস্তা নিয়ে আপাতত অবস্থা এমনই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে রাস্তা খারাপ হয়ে রয়েছে। বর্ষায় রাস্তা আরও বেহাল হয়েছে। কাউন্সিলরদের জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। কাউন্সিলরদের একাংশ এই অভিযোগে সমর্থন জানাচ্ছেন। তাঁদের কথায়, পুরসভাকে খারাপ রাস্তার তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে মেরামতের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে পুরসভা জানিয়েছিল। পুরসভার কাছে বাসিন্দাদের দাবি, পুজোর আগে অন্তত প্যাচওয়ার্ক করা হোক।
কাউন্সিলরদের বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরসভার দাবি, অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে বইমেলা-সহ একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পুরসভার উপরে পড়েছিল। সেই কাজ করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আজও সেই টাকা রাজ্যের কাছ থেকে মেলেনি। টাকা চেয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে তদ্বিরও করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এই সময়ে পুর কোষাগারের অবস্থা ভাল নয়। উপরন্তু আবর্জনা সাফাই, জল সরবরাহ, ডালপালা ছাঁটা থেকে মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় খরচ রয়েছে। ফলে রাস্তা মেরামত করার মতো অবস্থায় নেই পুরসভা।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের মতে, ‘‘আমরা তো নিয়মিত কর দিই। কার কাছে পুরসভার বকেয়া রয়েছে, তারা কেন দিচ্ছে না, তা আমাদের জানার কথা নয়। রাস্তা মেরামত না হলেও ন্যূনতম প্যাচওয়ার্ক তো হবে!’’ একই অভিযোগ, কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বাসিন্দাদেরও। তাঁদের অভিযোগ, একেই রাস্তা খারাপ ছিল। জল সরবরাহের পাইপ বসাতে গিয়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে এখন দুর্বিষহ অবস্থা। পুজোয় মানুষ ও গাড়ির চাপ বাড়বে। তাঁদের প্রশ্ন, এই রাস্তায় কী করে যাতায়াত করা সম্ভব হবে? ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে মেয়রকে জিজ্ঞাসা করুন।’’
মেয়র সব্যসাচী দত্ত অবশ্য রাস্তা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের বৈঠকে পুরকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা মেটানো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁরাও কাজ করতে চাইছেন না। উপরন্তু কোষাগারের অবস্থা খারাপ। তাই কাজও স্থগিত করা হয়েছে। অর্থের যোগান হলে কাজ হবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা।
বিষয়টি তাঁরা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে জানিয়েছেন। পুরসভার দাবি, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে বিবেচনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy