শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের। এত দিন এই কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের ক্যাম্পাসেই নিজেদের মধ্যে গোলমালে জড়াতেন। এ বার কলেজ পেরিয়ে অন্য কলেজে গিয়েও নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এলেন তাঁরা। সোমবার, সেন্ট পলস্ কলেজের মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গিয়ে জয়পুরিয়ার পড়ুয়ারা এমন গোলমাল শুরু করেন যে তার জেরে পুলিশ আসে। তিতিবিরক্ত সেন্ট পলস্ কর্তৃপক্ষ জয়পুরিয়াকে আর মাঠ ব্যবহার করতে দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এর জেরে ওই কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত
হয়ে গিয়েছে।
সোমবার ছিল জয়পুরিয়া কলেজের দু’দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম দিন। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য উত্তর কলকাতার সেন্ট পলস্ কলেজের মাঠ ভাড়া নিয়েছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। বিকেলের দিকে জয়পুরিয়ার দু’দল ছাত্রের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়। ঠিক কী নিয়ে গোলমাল, তা জানা যায়নি। অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতির মধ্যে পড়ে যান ছাত্রীরাও। কম বেশি আহত হন তাঁরা। এমনকী, ধাক্কাধাক্কির হাত থেকে বাঁচেননি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকও। দু’পক্ষের হাতাহাতি, মারামারি ছড়িয়ে পড়ে কলেজের সামনের রাস্তাতেও।
তুমুল হাতাহাতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সেন্ট পলস্ কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। কলেজ ক্যাম্পাসে আসে স্থানীয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। পুলিশ এসে বিবদমান দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। খবর পাঠানো হয় জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষকে। সেন্ট পলস্ কলেজের তরফ থেকে জয়পুরিয়ার অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়কে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, দু’দিনের জন্য তাঁরা মাঠ ভাড়া দিলেও এই গন্ডগোলের পরে জয়পুরিয়ার কলেজের পড়ুয়াদের আজ, মঙ্গলবার আর মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এমনকী, কলেজের মাঠ ভাড়া বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটাও ফেরত দেওয়া হবে। জয়পুরিয়া কলেজ সূত্রের খবর, অশোকবাবু বিষয়টির জন্য সেন্ট পলস্ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমাও চান। তিনি এও জানান যে এই ঘটনার জেরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়ে গিয়েছে । এ দিন সেন্ট পলস্ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই ছাত্রেরা নিজেদের মধ্যে এমন গন্ডগোল করছিল যে আমরা বাধ্য হয়েছি পুলিশ ডাকতে। পুলিশ এসে লড়াই করতে থাকা ছাত্রদের সরিয়ে দেয়। আমরা ওদের আর মাঠ ভাড়া দিচ্ছি না।’’
বিষয়টি নিয়ে অশোকবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পূর্ণ কলেজের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy