Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনা দাপটে গণপতিও প্রযুক্তি নির্ভর!

ঘরে বসে অনলাইনে পুজো দেওয়া ও বিনামূল্যে প্রসাদ পাওয়ার আবেদন করা যাবে। নির্দিষ্ট ঠিকানায় তা বিশেষ সতর্কতা নিয়ে পাঠানো হবে। প্রসাদের সঙ্গে থাকবে মাস্কও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৮
Share: Save:

করোনা-আবহে যখন শারদোৎসব পালন করা নিয়ে চিন্তায় ছোট-বড় পুজো কমিটি। তখনই পুজোয় সবার অংশগ্রহণ স্বাস্থ্যসম্মত করতে ডিজিটাল মাধ্যমকে বেছে নিল শহরেরই এক পুজো কমিটি। অবশ্য গণেশ পুজোয়।

সল্টলেকের ওই পুজো কমিটি প্রথাগত পুজোর বদলে একটি ঘরেই পুজো করে তা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়াও ঘরে বসে অনলাইনে পুজো দেওয়া ও বিনামূল্যে প্রসাদ পাওয়ার আবেদন করা যাবে। নির্দিষ্ট ঠিকানায় তা বিশেষ সতর্কতা নিয়ে পাঠানো হবে। প্রসাদের সঙ্গে থাকবে মাস্কও।

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এ বারে তাঁদের ভাবনা, ‘গৃহকোণে বিনায়ক’। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ ছাড়া পুজোস্থলে যাওয়ার সুযোগ হবে না কারও। এত দিন যেখানে পুজো হত, সেখানে এলইডি স্ক্রিন লাগানো থাকবে। যাতে পথচলতি মানুষ পুজো দেখতে পারেন। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান যুবক সঙ্ঘ পুজো কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সাবেক ভাবেই গণেশ পুজো করতে চায় সল্টলেকের মৈত্রী সঙ্ঘ। উদ্যোক্তা তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের কথায়, “এই অবস্থায় ন্যূনতম আয়োজনে গণেশ পুজো হবে। বাকি অনুষ্ঠান বাতিল।’’

তবে কি শারদোৎসবেও এমন ভিন্ন ভাবনার পথে হাঁটবেন উদ্যোক্তারা? দুর্গাপুজো নিয়ে উদ্যোক্তারা এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের তরফে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে কী ভাবে পুজো করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। সল্টলেকের একে ব্লকের পুজোর এক উদ্যোক্তা রাজা বণিকের কথায়, “ঘরে বসে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পুজো অনেক দিন থেকেই মানুষ দেখছেন। এখন অনেকে ডিজিটাল মাধ্যম বেছে নেবেন। কিন্তু দুর্গাপুজো নিয়ে সরকার কী নির্দেশিকা দেবে তার উপরে পরিকল্পনা নির্ভর করছে।” এফডি ব্লকের পুজোর তরফে বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতি যা, তাতে হয়তো প্রযুক্তির পথে হাঁটতে হবে। সরকার কী নিয়ম স্থির করবে দেখেই সিদ্ধান্ত হবে।”

ডিজিটাল মাধ্যমে দুর্গাপুজোর বিরুদ্ধে বিজে ব্লকের পুজো উদ্যোক্তা উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার। তাঁর কথায়, দুর্গাপুজোয় ওই পথে হাঁটা মুশকিল। বরং সাবেক পুজোর কথা ভাবছি। দূরত্ব রাখতে এলইডি স্ক্রিন লাগানো হবে মণ্ডপ চত্বরে। প্রতি বারে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাসিন্দা পুজো দেবেন।

ডিজিটাল না হলেও এ বারের দুর্গাপুজোয় যে বদল আসতে চলেছে তা স্পষ্ট উদ্যোক্তাদের ভাবনায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE