—ফাইল চিত্র।
বিদেশ থেকে ফিরলেই বাধ্যতামূলক ভাবে স্বেচ্ছায় কোয়রান্টিনে যেতে হবে। এমন নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, এই রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ কেউ অমান্য করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখতে বাধ্য হবে রাজ্য প্রশাসন। এ বার বিদেশফেরত দুই মহিলার বিরুদ্ধে সেই পদক্ষেপই করা হল। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করাল কলকাতা পুলিশ।
বিদেশ থেকে ফিরে অনেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র নির্দেশ মেনে ‘গৃহ-পর্যবেক্ষণে’ থাকছেন না। শপিং মল, কর্মস্থল এবং নিজেদের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন অভিযোগে জেরবার হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং পুলিশ-প্রশাসন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই দুই তরুণ ইংল্যান্ড থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তিও রয়েছেন। তাঁরাও বিদেশ থেকে শহরে ফিরে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ বার দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা দুই মহিলাও একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন! কলকাতা পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ আসতেই, তাঁদের দ্রুত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও হু-এর নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ উঠেছে। তিনিও বিদেশ থেকে ফিরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছে বেলেঘাটা হাসপাতালে।
শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা টুইট করে জানান, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা দুই মহিলা বিদেশ থেকে ফিরে কোয়রান্টিনে ছিলেন না। মহামারি আইন অনুযায়ী তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফিরলেই বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিন
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে, প্রাইভেট ল্যাবগুলিকে দ্রুত পরীক্ষার অনুমতির আবেদন মমতার
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ওই তিন জনের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। আগেই পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ফিরে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে অন্তত ১৪ দিন। নিয়ম না মানলে আইনঅনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন, “প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ মেনে চলতে বলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy