প্রতীকী ছবি।
বিধাননগরের এক বৃদ্ধাকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন বৃদ্ধার এক আত্মীয়। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানি, এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সেই কাউন্সিলর।
বিধাননগর পুর এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডে সম্প্রতি এক বৃদ্ধাকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাঁর এক আত্মীয়ের অভিযোগ, ‘‘বৃদ্ধার ঠান্ডা লেগেছিল। বেলেঘাটা আই ডি-র চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে ওষুধ দিয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন। কিন্তু কাউন্সিলর নির্মল দত্ত মিথ্যা প্রচার করে, স্থানীয়দের খেপিয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বৃদ্ধাকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।’’
অভিযোগ খারিজ করে কাউন্সিলর নির্মলের পাল্টা দাবি, বাসিন্দারাই তাঁর কাছে এসে ওই বৃদ্ধার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর সুরক্ষার জন্যই ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল। নির্মলের দাবি, ওই বৃদ্ধা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছিলেন। এলাকার লোকজন ভয় পাচ্ছিলেন। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। ঘটনাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়। এর পরে ওই বৃদ্ধাকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘একটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এমন বদনামের মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি। আইনানুগ পদক্ষেপ করছি।’’
ঘটনার পরে বিধাননগর পুরসভাও কাউন্সিলরের পাশেই দাঁড়িয়েছে। বৃদ্ধার আত্মীয়দের অভিযোগ উড়িয়ে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, কাউন্সিলরের কথায় কাউকে কোয়রান্টিনে কেন্দ্রে রেখে দেওয়া হয় না। ওই বৃদ্ধার সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই ব্যবস্থা করা হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy