উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
কোটি কোটি টাকার চোরাই সোনা লুকনো ছিল কার্পেটের তলায়। কিছুটা ছিল ব্যাগের ভিতরে। হাওড়ার একটি ফ্ল্যাট থেকে সেই সোনা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)।
ধৃতদের এক জন ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। দ্বিতীয় জন মণিপুর-মায়ানমার সীমান্ত থেকে চোরাই সোনা নিয়ে এসে প্রথম জনের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। ডিআরআই সূত্রের খবর, দু’জনেই আদতে মণিপুরের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে যিনি হাওড়ার শিবপুরে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন, তিনি ওই চোরাই সোনা বড়বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন বলে ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার আগে থেকে খবর পেয়ে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম চোরাই সোনার হাতবদলের সময়েই ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন ডিআরআই অফিসারেরা। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকেই। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ওই ১০ কিলোগ্রামের বাইরেও প্রচুর সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিআরআই সূত্রের খবর, মোট ১২০টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গিয়েছে কার্পেটের তলায়, চটির ভিতরে এবং ব্যাগে। সব ক’টিই লুকনো ছিল। ডিআরআই কর্তাদের সন্দেহ, ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মণিপুরি ওই যুবক অনেক দিন ধরেই চোরাই সোনার কারবার চালাচ্ছিলেন। মণিপুর-মায়ানমার সীমান্ত থেকে চোরাই সোনা নিয়ে এসে তাঁর হাতে পৌঁছে দেওয়া হত। যে যুবক সোনা নিয়ে এসেছিলেন, তিনি প্রথমে সড়কপথে গুয়াহাটি পর্যন্ত এসে পরে ট্রেনে কলকাতায় আসেন।
মঙ্গলবার হাওড়ার ওই ফ্ল্যাট থেকে মোট ১৯ কিলোগ্রাম ৯২০ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা বলে ডিআরআই জানিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুই মণিপুরি যুবককে আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হেফাজতে
পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy