সরেজমিন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
পরিষেবা শুরু করার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রিক্যাল ইনস্পেক্টর জেনারেলের (ই আই জি) উপস্থিতিতে রেকগুলির নির্দিষ্ট কিছু বৈদ্যুতিক পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল রেল বোর্ডকে জানানো হবে।
রেলের নিজস্ব গবেষণা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন’ (আরডিএসও) ইতিমধ্যেই রেকগুলিকে এক দফা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছে। ওই রিপোর্টও রেল বোর্ডকে জানানো হয়েছে। এ দিনের ই আই জি পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পরে রেল বোর্ডের কাছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ দু’টি রিপোর্টের ভিত্তিতে রোলিং স্টক (ট্রেন) ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর তুলনায় ওই মেট্রোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা অনেকটাই আধুনিক। দু’টি ট্রেনের দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন আসা মাত্র স্বয়ংক্রিয় উপায়ে প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিন ডোর খোলা এবং বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থাও সিগন্যাল ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এমনকি, প্রতিটি স্টেশনের ঘড়িও সিগন্যালের সঙ্গে যুক্ত। মেট্রো সূত্রের খবর, সেই কারণেই একটি ফরাসি সংস্থাকে দিয়ে পৃথক ভাবে মেট্রোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করানো হয়েছে। ওই ফরাসি সংস্থা সপ্তাহখানেকের মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠাবে। মার্চের শেষে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়ার কথা।
রেল বোর্ডের তরফে ট্রেন ব্যবহারের ছাড়পত্র এবং সিগন্যালিং সংক্রান্ত পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পরেই যাত্রী পরিবহণের জন্য ট্রেন চালানোর অনুমতি পাওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের চূড়ান্ত পরিদর্শনের পরে ওই অনুমতি মিলবে।
এ দিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল-এর রোলিং স্টক বিভাগের অন্যতম ডিরেক্টর অনুপকুমার কুন্ডু বলেন, ‘‘নির্ধারিত সূচি মেনেই ই আই জি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy