—ফাইল চিত্র।
কালবৈশাখীর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি পৌঁছনোর জন্য মোটরবাইকে সওয়ার হয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্মী মার্কাস মুর্মু। কিন্তু বিদ্যাসাগর সেতুতে ওঠার পরেই চিনা মাঞ্জা সুতোয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল তাঁর নাক-মুখ। এমনকি, সুতোয় কেটে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে চোখের মণিও!
কর্তব্যরত পুলিশকর্মী এবং হেস্টিংস থানার ওসির তৎপরতায় মার্কাসকে দ্রুত এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর মুখে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। বুধবার রাতে তাঁকে গার্ডেনরিচে রেলের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে চিন্তায় রেখেছে মার্কাসের চোখের অবস্থা।
আহতের স্ত্রী লীনা মুর্মু এ দিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মার্কাস ফোন করে জানান, ঘুড়ির সুতোয় নাক-মুখ কেটে গিয়েছে। দেখতেও পাচ্ছেন না। এর পরে হেস্টিংস থানা থেকে ফোন করে লীনাকে দ্রুত এসএসকেএমে আসতে বলা হয়। লীনা বলেন, “পৌঁছে দেখি, ওর নাক-মুখ, চোখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। বাইকে বসা অবস্থাতেই মাঞ্জা সুতো ওর মুখে জড়িয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে সুতো নাকে-গলায় আরও চেপে বসে।’’ লীনা জানান, এসএসকেএমে চোখের সমস্যা বোঝা যায়নি। রেলের হাসপাতালে ড্রেসিং করার সময়ে দেখা যায়, বছর ঊনষাটের মার্কাসের ডান চোখের মণি সুতোর চাপে কেটে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে। লীনা বলেন, “প্রাণে তো বেঁচে গেল, কিন্তু চোখের কী হবে! এই সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ হয় না কেন?’’
গত কয়েক বছরে মা উড়ালপুল এবং বিদ্যাসাগর সেতুতে চিনা মাঞ্জা সুতো মুখে বা গলায় জড়িয়ে আহত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এ জে সি বসু রোড উড়ালপুলে মাঞ্জা সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হয় এক যুবকের। তবু পরিস্থিতি বদলায় না কেন? কলকাতা পুলিশের দাবি, মা উড়ালপুল এবং বিদ্যাসাগর সেতুতে ওঠার মুখে কড়া নজরদারি চালানো হয়। হেস্টিংস থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, “হাওড়া পুলিশকেও সতর্ক হতে হবে। ওদের এলাকা থেকে প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। তার সুতোই বিদ্যাসাগর সেতুতে বিপত্তি ঘটিয়েছে।” লালবাজারের এক ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তা বলেন, “দ্রুত হাওড়া পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy