অগ্নিকান্ডের পরে। সোমবার। — সুমন বল্লভ
প্রতিষ্ঠার দু’শো বছর উদ্যাপন চলছে। গোটা ক্যাম্পাস জুড়েই সাজো সাজো রব। তার মধ্যে হঠাৎই ভস্মীভূত হয়ে গেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নাইন-টু-নাইন’ ক্যান্টিন। দমকল জানিয়েছে, সোমবার সকাল ছ’টা নাগাদ বন্ধ থাকা ওই ক্যান্টিনে আগুন লাগে। পাঁচটি ইঞ্জিন প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সকাল ন’টায় ওই জায়গা থেকেই ধোঁয়া বেরোতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যান্টিন থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। তাঁরা খবর দেন দমকলে। অন্য দিকে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দাবিতে অনশনে বসা শ্রীমতী ঘোষালও আগুন দেখে দমকলে খবর দেন। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে ক্যান্টিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, দমকল আসার আগেই প্রশিক্ষিত কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। এর পরে দমকলের কর্মীরা পৌঁছে ক্যান্টিনের জানালার কাচ ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ক্যান্টিনের ম্যানেজার নিতাই সিংহ। প্রায় সাতটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল। নিতাইবাবু জানিয়েছেন, পুড়ে গিয়েছে ক্যান্টিনের চেয়ার টেবিল-সহ সমস্ত জিনিস। তবে গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় প্রেসিডেন্সি।
ফের ন’টা নাগাদ ক্যান্টিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। দমকল সূত্রের খবর, নিভে যাওয়া অংশগুলি থেকে শুধু ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। নতুন করে আগুন লাগেনি। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কখনও রসায়নাগারে, কখনও বা লাইব্রেরিতে। প্রশ্ন উঠেছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েই। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতিবাবু।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy