ভস্মীভূত: ধ্বংসস্তূপে দমকলকর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায়, আনন্দপুর পূর্বপাড়ায়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। তার মধ্যেই ফাটছে একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার। কেউ ছুটছেন সন্তান কোলে, কেউ আবার পড়ার বই হাতে!
শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেল আনন্দপুর পূর্বপাড়ার একটি বস্তির প্রায় চল্লিশটি ঘর। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত পর্যন্ত নানা জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ চলতে থাকে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। রাত পর্যন্ত আগুন লাগার কারণও স্পষ্ট হয়নি। তবে বস্তির কোনও একটি ঘরেই প্রথম আগুন লেগেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ত্রিপল ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঘরগুলিতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আনন্দপুর পূর্বপাড়ায় একটি বহুতলের পাশেই রয়েছে ওই বস্তিটি। সেখানে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট ঘর মানুষের বাস। তাঁদেরই এক জন মঞ্জু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় পরিবারের সকলে মিলে ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ শুনি, বাইরে প্রবল চিৎকার। বেরিয়ে দেখি, সকলে ছুটছেন। নিজেরা বেরিয়ে আসতে পারলেও ঘরের কিছুই নিতে পারিনি।’’ গৌরী মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রায় প্রতিটি ঘরেই সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। সেগুলিই ফাটতে শুরু করে। দমকল আসার আগে আমাদের বস্তির পাশের ওই বহুতল থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। ওই সাহায্য না পেলে আগুন আরও বাড়ত।’’ এলাকার কাউন্সিলর শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যথাসম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy