পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড এলাকায় নামার আবেদন আগেই জানিয়েছিল পুর প্রশাসন। যদিও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। এ বার একই বার্তা দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ-সহ পদস্থ কর্তাদের তিনি বলেছেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে সচেতনতা বাড়াতে কাউন্সিলরদেরও রাস্তায় নামানো হোক। ফিরহাদ নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘ওঁদের বলেছি, মশা দমনের কাজে স্বাস্থ্যকর্মী ও ১০০ দিনের কর্মীদের সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত এক দিন জনপ্রতিনিধিরাও রাস্তায় নামুন।’’ তিনি জানান, এ দিনই তাঁর এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে জানিয়েছেন, একটি জায়গায় ড্রামে ও টায়ারে জল জমে আছে। বারবার বললেও তা গায়ে মাখছেন না ওই জমির বাসিন্দারা। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘পরে আমি গিয়ে জল ফেলে দিই। টায়ার কেটে ফেলে দিয়েছি।’’ মন্ত্রীর মতে, মশা দমনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা সজাগ থাকলে তবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যাবে।
মন্ত্রী জানান, এর আগে রাজ্যের একাধিক পুরসভার সঙ্গে ডেঙ্গি-সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর বৈঠক হয়েছে। এ দিন কলকাতা পুরসভাকেও ডাকা হয়েছিল। ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্যে নজর কেড়েছে কলকাতা। কী করা হয়েছে, কী করা হচ্ছে, তার একটি রিপোর্ট দিয়েছেন পুরকর্তারা। গত ১৫ অগস্ট পর্যন্ত ২৯৬ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তবে সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ দিকে, এ দিনই পুর প্রশাসন প্রতিটি বরোয় জঞ্জাল, জল সরবরাহ, নিকাশি ও বিল্ডিং দফতরের ডিজি-দের পাঠিয়ে নিজ নিজ দফতরের কী করণীয়, তা দেখার কাজ শুরু করেছে। গত কিছু বছর এই সমন্বয় না থাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছিল। এ বার তা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান অতীনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy