দিল্লিতে বলা হয় মার্গ। কোথাও চলে স্ট্রিট। কোথাও বা রোড। আমরা এখানে বলে এসেছি সরণি। এ বার নতুন বিকল্পের সন্ধান পাওয়া গেল। ধরণী। লি রোডের নাম এখন থেকে হয়ে গেল সত্যজিত্ রায় ধরণী! সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তাব উঠেছিল লি রোডের নাম পাল্টে রাখা হোক সত্যজিত্ সরণি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি জানালেন। কারণ সরণি অনেক হয়েছে। তাই এ বার ধরণী করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিশফ লেফ্রয় রোডের পাশের ছোট্ট লি রোডের নাম তাই সত্যজিত্ রায় ধরণী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল কলকাতা পুরসভা।
কৃতি এবং খ্যাতিমান মানুষদের নামে রাস্তার নামকরণের চল গোটা বিশ্ব জুড়েই রয়েছে। কলকাতাও তার বাইরে নয়। লাটসাহেব থেকে জমিদার বাহাদুর, বিজ্ঞানী থেকে সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পী এমনকী সমাজকর্মী বা সাংবাদিক— তাঁদের নামে রাস্তার নামকরণ হয়েছে বহু ক্ষেত্রেই। এখনও হয়। কখনও ‘রোড’ কখনওবা ‘সরণি’ এ ভাবেই পরিচিত হয়ে এসেছে সেই এলাকা। গোটা বিশ্বেই এমনটা দেখা যায়।
সম্প্রতি বিশফ লেফ্রয় রোডকে ঢেলে সাজা হয়েছে। উদ্যোগে কলকাতা পুরসভা। সোমবার সেই নব সাজে সেজে ওঠা রোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসুর অনুরোধে সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। সেখানেই লি রোডের এমন ধরণীতে রূপান্তরের কথা বলেন মমতা। এর আগে পার্ক স্ট্রিটের নাম পাল্টে মাদার টেরিজা সরণি করা হয়েছিল। তখনও প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেট্রো স্টেশনগুলির নাম পাল্টানো নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। এ বার সরণি থেকে ধরণীর রূপান্তর নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy