হেয়ার স্কুল।—ফাইল চিত্র।
সরকারি যে স্কুলগুলিতে উদ্বৃত্ত শিক্ষক রয়েছেন, সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হবে শিক্ষক কম থাকা স্কুলে। এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক না থাকার অভিযোগে বুধবার সকাল আটটা থেকে হেয়ার স্কুলের সামনে দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক পথ অবরোধ করেন অভিভাবকেরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী সরকারি স্কুলে শিক্ষকের অভাব মেটানোর ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাথমিক বিভাগে যেখানে ১৪ জন শিক্ষক থাকার কথা, সেখানে টিচার ইন-চার্জকে নিয়ে রয়েছেন মাত্র ৯ জন। পাঁচ জন শিক্ষক কম থাকায় মাঝেমধ্যেই ক্লাস হয় না। বিশেষত সমস্যা দেখা দিচ্ছে অঙ্ক ও বিজ্ঞানের ক্লাসের ক্ষেত্রে। পাঠ্যক্রম পুরো শেষ না হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। যার প্রভাব পড়ছে তাদের ফলে। কয়েক জন অভিভাবক জানান, তাঁরা অনেক দূর থেকে ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পড়াতে নিয়ে আসেন। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। এই সমস্যা চলছে গত চার বছর ধরে। একাধিক বার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের গোচরে আনা হলেও সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি, সার্বিক পরিকাঠামোর সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন তাঁরা।
পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল দাস। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষক ছিলেন। দিন পনেরো আগে এক জন শিক্ষক অবসর নেওয়ার পরে এখন প্রাথমিক বিভাগে শিক্ষক-ঘাটতি পাঁচে এসে ঠেকেছে। আমাদের ৯ জন শিক্ষককে প্ৰথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১১টি সেকশনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের উপরেও যথেষ্ট চাপ পড়ছে। শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে আমরা বিকাশ ভবনে জানিয়েছি।’’ তবে শুধু হেয়ার স্কুল নয়। বেশিরভাগ সরকারি স্কুলেই শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলে জানাচ্ছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘গত সাত দিনে পুরুলিয়া, কোচবিহারের সরকারি স্কুলে শিক্ষকের অভাবে অভিভাবকদের বিক্ষোভ হয়েছে। এ বার তা দেখা গেল খাস কলকাতায় হেয়ার স্কুলে। দেওয়ালে কতখানি পিঠ ঠেকে গেলে অভিভাবকেরা বিক্ষোভের পথ বেছে নেন, তা শিক্ষা দফতরের বোঝা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy