দমদমের সেন্ট স্টিফেনস স্কুল।—ফাইল চিত্র।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পরীক্ষা বাতিল করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সেই তথ্য সময় মতো জানানো হয়নি অভিভাবকদের। তাই তাঁরা পরীক্ষা হবে ধরে নিয়েই বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে দমদমের সেন্ট স্টিফেনসের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে না জেনে ক্ষুব্ধ হন তাঁরা। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা ঘেরাও করেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে দমদম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এ দিন প্রাথমিক বিভাগে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাসেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা যে হচ্ছে না স্কুলের সামনে এক স্কুলগাড়ির চালক তাঁদের জানান বলে এক অভিভাবকের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলগাড়ির চালক কেন খবর দেবেন? স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন কিছু জানাবেন না?’’ অভিযোগ, পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেন নি। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে কিছু না জানানোয় সবাই ভাবেন পরীক্ষা হবে। তাই অনেকেই অনেক দূর থেকে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে চলে আসেন।
এ সবের পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। ভাইস প্রিন্সিপাল সুদীপ্তবিকাশ দাসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নবনীতা পাল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘কয়েক জন অভিভাবককে এসএমএস করে অথবা ফোন করে স্কুল বিষয়টি জানাতে পারত।’’ শ্রাবন্তী বিশ্বাস নামে আর এক অভিভাবক বলেন, ‘‘আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের সমন্বয়ের
অভাব রয়েছে। ওঁরা কিছুই জানান না আগে থেকে। ফলে মাঝেমধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়ায়।’’
যদিও ওই স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল সুদীপ্ত বিকাশ দাস বলেন, ‘‘জুনিয়র সেকশনের ছোট ছোট পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই এ দিন পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে অভিভাবকদের সঙ্গে যেন কোনও রকম সমন্বয়ের অভাব না হয় সেই ব্যাপারে নজর রাখা হবে।’’ সুদীপ্তবাবু জানান, এ দিনের বাতিল হওয়া পরীক্ষা হবে শনিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy