রামপুরহাট থানার চাকপাড়াতে অমিত শাহ। ছবি : সব্যসাচী ইসলাম।
‘মিথ্যা’ অভিযোগে বন্দি আছেন অনুব্রত মণ্ডল। ভোট মিটলেই মুক্তি পেতে পারেন। বীরভূমের নির্বাচনী সভা থেকে এমনই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের হয়ে লোকসভা প্রচারে এসে তিহাড়ে বন্দি সেই অনুব্রতকেই নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার রামপুরহাটের চাকপাড়ার সভা থেকে শুক্রবার শাহ বলেন, ‘‘তৃণমূল মানেই দুর্নীতি-মাফিয়ারাজ। গরু পাচার করে এখন তিহাড় জেলে বন্দি এখানকার এক জন।’’
শাহ ছাড়াও এ দিন মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শাহের আগে বলতে উঠে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন শুভেন্দুও। পরে নিজের বক্তব্যে বীরভূমে বালি ও কয়লা পাচারের অভিযোগে সরব হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। শাহ বলেন, ‘‘বীরভূমে ১৯টি নদী আছে। এই সমস্ত নদী থেকে সিপিএম থেকে তৃণমূল— বালি পাচারের সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। পাথর, কয়লা সব ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেট। মমতা ও ভাইপোর এ সব মদতে চলছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘যাঁরা এখনও গরু-বালি-কয়লা পাচার করছেন, তাঁরা শুধরে যান। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দেব। বাংলায় এখন মন্ত্রীর ঘর থেকেও কোটি কোটি টাকার পাহাড় উদ্ধার। চিন্তা করবেন না, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে যেতেই হবে।’’
সম্প্রতি রামপুরহাটের নির্বাচনী সভায় বীরভূম নিজের জন্মস্থান বলে স্মৃতিকাতর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন মমতা নিজের জন্মস্থানের উন্নতির জন্য কী করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাহ। শাহের দাবি, জেলায়কোনও শিল্প গড়ে না ওঠায় জেলাবাসীকে বাইরে কাজের জন্য যেতে হচ্ছে। যদিও শাহের দাবি, ৯ লক্ষ শ্রমিককে একশো দিনের কাজ দেওয়া হয়েছে।
সিউড়ি ও রাজনগরে পানীয় জলের ‘সমস্যা’, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পর্যটনে জেলার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাহ। বিজেপি ৩০টি আসন পেলে শুভেন্দু উন্নয়ন করবেন বলে আশ্বাস দেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। আপনারা নির্ভয়ে নিজের ভোট নিজে দিন।’’ শান্তিনিকেতনের একাংশকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র ঘোষণা মোদী সরকারে সাফল্য বলে দাবি করেন শাহ। অমৃত ভারত প্রকল্পে জেলার একাধিক রেলস্টেশনের উন্নয়ন, জাতীয় সড়কের সংস্কার, বক্রেশ্বরে হিলিয়াম গ্যাসের প্লান্ট তৈরির কথাও উল্লেখ করেন শাহ।
যদিও জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুব্রত মণ্ডল জেলার উন্নয়নের কারিগর। জেলার বিজেপি নেতারা যা বলেছেন, সে কথা আউড়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy