দাউদাউ: জ্বলছে নিকাশির পাইপ। শনিবার, বাটানগরে। ছবি: অরুণ লোধ
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। তাই পড়ুয়ারা কেউ হাজির না থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলেই কাজ করছিলেন। আচমকা তীব্র আগুনের হলকা হুড়মুড়িয়ে ঢুকল স্কুলের মাঠে। তার পরেই আগুনের লেলিহান শিখা ছুঁল স্কুলের দোরগোড়া। তবে স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। শনিবার বাটানগরের ওই আগুনে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সামনের মাঠে সার দিয়ে রাখা প্লাস্টিকের কয়েকশো নিকাশি পাইপ আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে। মহেশতলা পুরসভার উপ প্রধান আবু তালেব মোল্লা এ দিন দাবি করেন, প্রায় চার কোটি টাকার নিকাশির পাইপ আগুনে নষ্ট হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে।
পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা জানান, মহেশতলা পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাটানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ‘হাইডেনসিটি পলি ইথিলিন’ পাইপগুলি রাখা ছিল। সকাল সওয়া দশটা নাগাদ আগুন লাগে। খোলা মাঠে পাইপগুলি রাখা থাকায় হাওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
মহেশতলা থানার পুলিশ দমকলে খবর দেয়। মোট ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নামে। আগুন বড় আকার নেওয়ায় বজবজ ছাড়াও পূজালি ও বেহালা থেকেও দমকলের ইঞ্জিন যায়। ওই স্কুলের কাছের একটি পুকুরে
চারটি পাম্প বসিয়ে রিলে প্রথায় জল নিয়ে যান দমকলকর্মীরা। তাঁরা জানান, পাইপগুলি প্লাস্টিকের হওয়ায় নিমেষে তাপে গলে যায়। মাঠ জুড়ে গলে যাওয়া প্লাস্টিকে হোসপাইপ দিয়ে টানা জল ঢালতে থাকেন দমকলকর্মীরা। দুপুর একটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরিন্দম দেব বলেন, ‘‘আগুনের শিখা দেখে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চলে যেতে বলি। পাশের নির্মীয়মাণ আবাসন প্রকল্পের ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে বলি। না হলে স্কুলে শর্ট সার্কিট হত।’’
মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) পীযূষ দাস জানান, পুর এলাকার মোট ৩৫টি ওয়ার্ডে ধাপে ধাপে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রাজস্থান থেকে দফায় দফায় পাইপ আনা হচ্ছে। অত বড় ব্যাসার্ধের পাইপ রাখার জায়গা মিলছিল না। শেষে প্রাথমিক স্কুলের সামনে নিউ ল্যান্ড মাঠে পাইপগুলি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
পীযূষ জানান, আপাতত বজবজ রোডের দু’ধারে, আক্রা রোড, ব্যানার্জি হাট রোড, শিবরামপুর রোডে এবং সন্তোষপুর গভর্নমেন্ট কলোনিতে নিকাশি পাইপ বসানোর কাজ চলছে। এ দিন আগুন লাগার ফলে সে কাজ ব্যাহত হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy