প্রতিবাদ: অনশনে যাদবপুরের পড়ুয়ারা। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে রিপোর্ট দিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। পড়ুয়াদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য। তবে পড়ুয়ারা সাড়া দেননি।
শুক্রবার সহ-উপাচার্যকে নিয়ে রাজভবনে যান উপাচার্য। সূত্রের খবর, মৌখিক ভাবে পরিস্থিতির কথা আচার্যকে জানান তিনি। রাজ্যপাল উপাচার্যকে লিখিত রিপোর্ট দিতে বলেন। এ দিন সেই রিপোর্টই পাঠানো হয়েছে। জটিলতা সমাধানে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে রাজ্যপালের কাছে।
কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার রাত থেকে অনশনে বসেছেন যাদবপুরের ২০ জন প়ড়ুয়া। তাঁদের দাবি, প্রবেশিকা ফেরানো নিয়ে রবিবার বেলা ১২টার মধ্যে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে হবে। তা না-হলে আমরণ অনশন শুরু হবে। এ দিন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তবে লিখিত বিবৃতিতে পড়ুয়াদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করে বলেছেন, সমস্যা সমাধানে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়া ও পরামর্শ চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
উপাচার্যের অনুরোধের পরেও অনশনকারীদের পক্ষে দেবরাজ দেবনাথ জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরের মধ্যে কর্মসমিতির বৈঠক না-ডাকা হলে আমরণ অনশনে যাবেন তাঁরা। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরাও। দেবরাজ বলেন, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করা মানব না। রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।’’ শিক্ষক সমিতি জুটা-র পক্ষ থেকেও এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছে। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, অনশনরত পড়ুয়াদের দিনে দু’বার পরীক্ষা করছে মেডিক্যাল টিম। অ্যাম্বুল্যান্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলা, ইতিহাস, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন ও তুলনামূলক সাহিত্যে প্রবেশিকা পরীক্ষার বদলে এ বার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছেন পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ইচ্ছেতেই সিলমোহর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার কর্মসমিতিতে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই পড়ুয়াদের একাংশ উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্য বাড়ি ফেরেন। যে ছ’টি বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে ইংরেজি, বাংলা এবং তুলনামূলক সাহিত্যের অধিকাংশ শিক্ষকই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষকও একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy