পার্ক সার্কাসের যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত ও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে সোমবার নিজের এজলাসে ডেকে তিনি নির্দেশ দেন, ওই এলাকার যান চলাচল ঠিক রাখতে অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) যেন ব্যবস্থা নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে সল্টলেকের বাড়ি থেকে হাইকোর্টে আসার সময় মা উড়ালপুল ধরেন বিচারপতি। সওয়া দশটা
নাগাদ উড়ালপুল থেকে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে নেমে এজেসি বসু উড়ালপুলের দিকে এগোতে থাকেন তিনি। কিছুটা গিয়েই গাড়ি
যানজটে আটকে যায়। ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ লেখা লাল রঙের বোর্ড লাগানো কয়েকটি গাড়ি ওই রাস্তায় দু’সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল এবং গাড়ির চালকেরা যাত্রী তুলছিলেন। বিচারপতির গাড়ি কোনও ভাবেই এগোতে পারছিল না। বিচারপতি চালককে নির্দেশ দেন, তিনি যেন নেমে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে ডেকে রাস্তা খালি করিয়ে দেন। অভিযোগ, চালক নেমে দেখেন ওই রাস্তায় কোনও ট্র্যাফিক সার্জেন্ট নেই। তখন বিচারপতি নিজেই তাঁর দেহরক্ষীকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দেখেন, কয়েক জন সিভিক পুলিশ ওই সব গাড়িগুলিতে শাটল যাত্রী তুলতে সাহায্য করছেন।
পুলিশ জানায়, বিচারপতি এক সিভিক পুলিশকে ডেকে নিজের পরিচয় দিয়ে নির্দেশ দেন, কোনও সার্জেন্টকে ডেকে আনতে। বেগতিক দেখে ওই সিভিক পুলিশ এক সার্জেন্টকে ডেকে আনেন। বিচারপতি সার্জেন্টকে জানান, পনেরো মিনিট ধরে যানজটে আটকে রয়েছেন তিনি। আদালতে যেতে অস্বাভাবিক দেরি হয়ে যাচ্ছে তাঁর। তিনি সার্জেন্টের কাছে জানতে চান, ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ বোর্ড লাগিয়ে অন্য গাড়ির পথ আটকে কী ভাবে শাটল যাত্রী তুলছেন ওই সব গাড়ির চালক।
এর পরে আদালতে বসে বিচারপতি করগুপ্ত সরকারি আইনজীবী অরুণ মাইতিকে নির্দেশ দেন, এজি এবং পিপি-কে তাঁর এজলাসে হাজির করাতে। বেলা সওয়া একটায় এজি ও পিপি আদালতে এলে বিচারপতি তাঁদের সবিস্তার জানান ও তাঁদের বলেন ডিসি-কে (ট্রাফিক) যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy