বিমানবন্দর থেকে দুই যাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক জনকে চুরির অভিযোগে, অন্য জনকে মাদক পাচারের অভিযোগে।
পুলিশ সূত্রের খবর, চুরির অভিযোগে ধৃত সাজিদ হুসেনের (৪৫) বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। শনিবার সকালে তিনি উড়ানে ইম্ফল যাবেন বলে কলকাতা বিমানবন্দরে ঢোকেন। এ দিকে ওই একই সময়ে অন্য উড়ানে কোচি যাবেন বলে বন্ধুদের সঙ্গে বিমানবন্দরে পৌঁছন ব্যাঙ্ক কর্মী ভিনি জ্যাকব নামে এক যুবতী। চেক-ইন এলাকায় বসে থাকাকালীন মাটিতে নামিয়ে রাখা তাঁর হাত ব্যাগ থেকে সোনার দুল ও টাকা চুরি হয়ে যায় বলে তিনি বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-কে মৌখিক ভাবে জানান। সাজিদের গতিবিধি দেখে সিআইএসএফ-এর সন্দেহ হয়। সাজিদকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
তবে, রবিবার কোচি থেকে ভিনি ই-মেল মারফত অভিযোগ দায়ের করার পরে এবং তাঁর বিবরণ মতো এক জোড়া কানের দুল সাজিদের কাছ থেকে পাওয়ার পরে রবিবার সাজিদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও এ ভাবে বিমানের টিকিট কেটে বিমানবন্দরে ঢুকে সাজিদ এমন কাজ করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ দিকে, রবিবার বিকেলে এক যাত্রী উড়ানে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময়ে তাঁর হাত ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় অনেকগুলো দেশলাই বাক্স। তার মধ্যে ছিল একটি সিগারেটের বাক্স। তাতে ৩২টি ছোট ছোট কাগজের মোড়ক! যার ভিতরে ছিল সাদা পাউডার। জেরার মুখে ওই যুবক যাত্রী অভিষেক সেন (৩৪) জানান, তিনি গুয়াহাটির একটি আয়ুর্বেদ কলেজের অধ্যাপক। সেখানে রসায়নাগারে পরীক্ষার জন্য সালফিউরিক পাউডার লাগে। তিনি কলকাতা থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
সিআইএসএফ অফিসার জানতে চান, কেউ যদি রসায়নাগারের জন্য সালফিউরিক পাউডার নিয়ে যাবেন, তবে তা তিনি একটি পাত্রে করেই সবটা নিয়ে যাবেন। এতগুলো আলাদা মোড়কে করে কেন নেবেন? এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই যুবক। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, পাউডার কী ধরণের তা জানতে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তাদের অফিসারেরা এসে পাউডার পরীক্ষা করে জানান, এটি হেরোইন।
পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে অভিষেককে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, নিজের ব্যবহারের জন্য ওই হেরোইন সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিষেক। বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইনের ওজন মাত্র দু’গ্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy