প্রতীকী ছবি।
শিশু উদ্যান ভেঙে বহুতল নির্মাণের অভিযোগে রবিবার সকালে মিছিল করলেন নিমতার নদীকূলের বাসিন্দারা।
নদীকূল উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতির সভাপতি উত্তম চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গত ৯ নভেম্বর শিশু উদ্যানে থাকা খেলার সামগ্রী উত্তম সাহা নামে এক ব্যক্তির লোকজন খুলে দেন। এর পরে চাতালও ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২২ কাঠার জমির উপরে দীর্ঘদিন ধরে বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক ব্যক্তি ওই জমির মালিকানা দাবি করে সেটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ভাইফোঁটার দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এ দিন মিছিল করেন বাসিন্দারা। সেই মিছিলের পোস্টারে লেখা, ‘শিশুদের মুখের হাসি কেড়ে নিতে দেব না’।
সমিতির সভাপতির দাবি, ১৯৮৩ সাল থেকে জলাজমিকে শিশু উদ্যানের রূপ দিতে বাসিন্দাদের অবদান রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘২০০২ সালে গীতারানি দাস নামে জনৈক মহিলা জমিটি তাঁর দাবি করে ব্যারাকপুর আদালতে মামলা করেন। ব্যারাকপুর আদালতে উন্নয়ন সমিতির পক্ষে রায় হয়। এর পরে অপরপক্ষ শিয়ালদহ কোর্টে গেলেও লাভ হয়নি।’’ যাঁর লোকজন শিশু উদ্যান ভেঙেছে বলে অভিযোগ সেই উত্তমবাবু বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে জমি খালি করে দেওয়ার জন্য গীতারানি দেবীর সঙ্গে মৌখিক চুক্তি হয়েছিল।’’
গীতারানি দেবী বলেন, ‘‘২০১৩ সালে নির্মলাসুন্দরী সেনগুপ্তের কাছ থেকে জমিটি কিনেছিলাম। দু’টি আদালতেই আমি জিতেছি। তার কাগজপত্রও রয়েছে। ২০১৭ সালে সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেছি। আইন আমার পক্ষে রয়েছে জেনে তখন কেউ কোনও আপত্তি করেননি। এক বছর পরে কী এমন হল যে আপত্তি জানিয়ে পথে নামতে হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy