বিজয় ঝা ও সন্তোষকুমার সাউ
কোমরে ব্যথার জন্য রক্ত পরীক্ষা করাতে দিয়েছিলেন রাজাবাগানের বাসিন্দা আজহার আলম আনসারি। এলাকার বাসিন্দা বিজয় ঝা নামে এক যুবক বাড়ি এসে রক্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন বাড়িতে এসে রক্তের রিপোর্টও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি দেখেই সন্দেহ হয়েছিল আজহারের।
রিপোর্টে থাকা নম্বরে ফোন করে আজহার জানতে পারেন, সেটি মৌলালির একটি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরির। কিন্তু তারা আজহারের রক্ত পরীক্ষা করেনি। এর পরেই রাজাবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে ভুয়ো প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরির খোঁজ মিলেছে। বিজয় ঝা এবং সন্তোষকুমার সাউ নামে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ জেনেছে, বিজয় রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সন্তোষকে দিতেন। সন্তোষ ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করে সরবরাহ করতেন। ধৃতেরা আগে নামী প্যাথোলজিকাল ল্যাবরেটরিতে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই এই প্যাড চুরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ।
অনেকেই বলছেন, এই ল্যাবরেটরির রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই চিকিৎসকেরা ওষুধ দেন। ফলে রিপোর্টে ভুল থাকলে চিকিৎসাতেও ভুল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জটিল হয়ে উঠতে পারে রোগীর শারীরিক অবস্থা। এমনকি কোনও সুস্থ মানুষের শরীরেও জটিল রোগের ওষুধও ঢুকে পড়তে পারে!
পুলিশ সূত্রের খবর, রিপোর্টে থাকা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে বিজয়কে ধরা হয়। তাঁকে নিয়ে রাতে সন্তোষপুরে হানা দিয়ে বাড়ি থেকে ধরা হয় সন্তোষকে। সেখানে দু’টি নামী সংস্থার ফাঁকা রিপোর্ট প্যাড মিলেছে। পুলিশ জেনেছে, মূলত নিম্নবিত্তদের নিশানা করতেন ধৃতেরা। নামী সংস্থার প্যাড নকল করে ইচ্ছে মতো রিপোর্ট বসিয়ে দেওয়া হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy