প্রতীকী ছবি।
ভাগাড়-কাণ্ডের আঁতুড়ঘর বজবজে অভিযান চালিয়ে এ বার ৭৫ কেজি পচা মাছ উদ্ধার করল পুরসভা। মিলেছে বাসি মাংসও। ঘটনায় এক মাছ ব্যবসায়ী ও এক হোটেল মালিককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বজবজ পুরসভার চেয়ারপার্সন ফুলু দে-র নেতৃত্বে পুর আধিকারিকেরা বজবজের নতুন বাজার ও চড়িয়াল এলাকার কয়েকটি দোকানে হানা দেন। পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন বাজারে মহম্মদ আকবর নামে এক মাছের ব্যবসায়ীর গুদামে হানা দিয়ে প্রায় ৭৫ কিলোগ্রাম পচা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি ফ্রিজারে ওই মাছ মজুত করা ছিল। মাছের রং যে ভাবে বদলে গিয়েছে, তাতে সেগুলি মাস চারেকের পুরনো বলে অনুমান করছেন পুর কর্তারা। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন রাসায়নিক দিয়ে ওই মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। ফ্রিজার থেকে মাছ বার করে আনার পরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।’’
বজবজ পুরসভা সূত্রে খবর, পচা মাছের খোঁজ পাওয়ার পরেই ওই মাছ ব্যবসায়ী আকবরকে পুলিশে দেন পুর আধিকারিকেরা। এর পরে তাঁরা হানা দেন বাজারের বেশ কয়েকটি মাংসের দোকানে। সেখানেও কয়েকটি দোকান থেকে বাসি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুর আধিকারিকেরা জানতে পারেন, চড়িয়াল এলাকার তিনটি হোটেলে মাছ এবং মাংস সরবরাহ করা হত ওই দোকানগুলি থেকে। এ কথা শোনার পরে সেই হোটেলগুলিতেও অভিযান চালান তাঁরা। সেখানে রান্না করা সমস্ত খাবারই বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুর কর্তারা জানাচ্ছেন, ওই সমস্ত হোটেলে অতিরিক্ত তেলমশলা দিয়ে ওই পচা মাছ ও মাংস রান্না করে বিক্রি করা হত। আটক করা হয় ওই তিনটি হোটেলের মালিক মহম্মদ ওসমানকে।
এ দিনের অভিযান সম্পর্কে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা বিভাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বজবজে ভাগাড়-কাণ্ডের পর পুরসভার তরফে নাগরিকদের সতর্ক করতে লিফলেট বিলি করা হয়েছিল। পুরসভা এলাকার সব মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীদেরও ওই লিফলেটের মাধ্যমে সর্তক করা হয়েছিল। আজকের অভিযানে হাতেনাতে সব ধরা পড়ল। অভিযানে পুলিশও ছিল আমাদের সঙ্গে।’’
এ দিনের পুর অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা পচা মাছ ও বাসি মাংস ইতিমধ্যে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। যে সমস্ত খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা-ও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy