Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মা

উদ্ধার হওয়া যুবক কৌশিক দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এ বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তাঁর পরিবার।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০১:৪১
Share: Save:

মায়ের অভিযোগ ছিল, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দু’বারই পুলিশ আলিপুর আদালতে জানায়, ঘটনাটি খুন নয়। তাই প্রায় সাড়ে ছ’বছর আগে বর্ষশেষের রাতেদক্ষিণ কলকাতার এক আবাসন চত্বর থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক কৌশিক দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এ বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তাঁর পরিবার।

গত সোমবার আলিপুর আদালতের বিচারক নতুন করে তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরেই পরিবারের তরফে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার কৌশিক দত্তের মা অনিমা দত্তের আইনজীবী সুব্রত সর্দার বলেন,‘‘পুলিশ প্রভাবিত হয়ে তদন্ত করেছে। তাই নতুন সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন করতে চলেছি।’’

২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার এক আবাসন চত্বরে সল্টলেক করুণাময়ীর বাসিন্দা কৌশিক দত্তের দেহ মেলে। বর্ষবরণের রাতে আবাসনের একত্রিশ তলায় পরিচিত শান্তনু এবং সুস্মিতা সরকারের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পড়ে মারা যান কৌশিক। তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অনিমাদেবী যাদবপুর থানায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, দু’দফায় তদন্ত হয়। প্রথম বার যাদবপুর থানার তৎকালীন অতিরিক্ত ওসি সন্দীপ চৌধুরী তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের এপ্রিলে আলিপুর আদালতকে জানান, ওই ঘটনা খুন নয়। সরকার দম্পত্তির আইনজীবী প্রশান্ত মজুমদার জানান, আদালতে পুলিশের ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবেদন করেন অনিমাদেবী। আদালতের নির্দেশে যাদবপুর থানা ফের ২০১৬ সাল থেকে কৌশিক দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত পুজোর পরে ফের থানার তরফে তদন্ত শেষে আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে খুনের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে রিপোর্ট জমা হয়। প্রশান্তবাবু জানান, দ্বিতীয় দফার তদন্তের পরে ফের আদালতে নতুন করে তদন্তের আবেদন করেছিল মৃতের পরিবার। আদালত এ বার তা মানতে চায়নি। সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘দু’টি তদন্তই একই থানা করেছে। ফলে সন্দেহের অবকাশ থাকায় আমরা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

High court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE