আপাতত স্থগিত ‘হোক আলিঙ্গন’। —ফাইল চিত্র।
লোকজন না আসায় ধাক্কা খেল মেট্রোয় আলিঙ্গনের কর্মসূচি।
ফেসবুক পোস্টে ডাক দেওয়া কর্মসূচিতে অনেকে ‘লাইক’ করে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও শনিবার দুপুরে কার্যক্ষেত্রে এলেন মাত্র চার জন! বাধ্য হয়েই মেট্রোয় নীতি পুলিশির বিরুদ্ধে আলিঙ্গনের কর্মসূচি স্থগিত করলেন উদ্যোক্তা স্বয়ং। তাঁর কথায়, “আজ স্থগিত করলাম। কিন্তু একটু গুছিয়ে নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের এই কর্মসূচি নিয়ে নামব।”
দমদম স্টেশনে মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য কর্মসূচির আগাম খবর পেয়ে অশান্তি এড়াতে রেলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার পাশাপাশি সিঁথি থানার পুলিশকেও জানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু দুপুর ২টো থেকে তাঁরা প্রস্তুত থাকলেও নীতি পুলিশির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের জমায়েত দেখা যায়নি।
নীতি পুলিশির বিরুদ্ধে ফেসবুকে শনিবার কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন ওই তরুণ। শুক্রবার রাতে একটি পোস্টে তিনি লেখেন “আগামীকাল দুপুর ২টোয় দমদম স্টেশনে দেখা হচ্ছে। কেউ এলে যোগাযোগ করে নিও।” পরে একটি অডিও লাইভে বিশদে কর্মসূচির কথা জানান।
এ দিন ওই যুবক বলেন, “অডিও লাইভে জানিয়েছিলাম, নীতি পুলিশির বিরুদ্ধে আমি আমার বান্ধবীকে নিয়ে মেট্রোয় আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় দমদম থেকে কবি সুভাষ যাব এবং ফিরে আসব। যাঁরা আসতে ইচ্ছুক তাঁরা প্রতিবাদে সামিল হতে আসতে পারেন। ফেসবুকে সাড়াও পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল অন্তত ৩০ জন আসতে পারেন। কিন্তু মাত্র ৪ জন আসেন।” ওই তরুণ আরও জানান, অনেককে তিনি ফোনও করেছিলেন। কিন্তু সময়ের অভাবে তাঁরা আসতে পারেননি। এ দিন রবীন্দ্র সদন এবং নন্দন চত্বরে একই রকমের কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন কিছু তরুণ-তরুণী।
এ দিন দমদমে আলিঙ্গন কর্মসূচির খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ‘হোক-চৈতন্য’ মঞ্চের কয়েক জন প্রৌ়ঢ় সদস্য। কেন গিয়েছিলেন দমদম স্টেশনে? জবাবে এক প্রবীণ সদস্য বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম ওখানে আসা নবীনদের আলিঙ্গন করে ঝামেলটা মিটিয়ে নিতে। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরে এলাম।’’
মেট্রোর এক কর্তা বলেন, “কর্মসূচির কথা শুনে আগেই রেলরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। মেট্রো স্টেশনে কোথাও কোনও ঝামেলা বা অশান্তি আমরা চাই না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy