স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশ কোনও স্কুল অমান্য করলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (ডিআই) সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা এমনই বার্তা দেন বলে জানাচ্ছেন এক ডিআই।
যদিও কয়েক জন ডিআই-কে এ দিন তিরস্কারের মুখেও পড়তে হয়েছে। এমনকি সরকারি বেতনের প্রতি সুবিচার করার মতো কড়া বার্তাও দেওয়া হয় তাঁদের। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এ দিন মোট ২২টি বিষয় নিয়ে ডিআইদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন-সহ দফতরের অফিসারেরা। বৈঠকের শেষে যোগ দেন স্কুলশিক্ষা সচিব। আলোচনায় উঠে এসেছে, ডিআইদের আরও তৎপর হওয়ার প্রসঙ্গ। এক ডিআই জানান, এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা জানান, সরকারি প্রকল্প স্কুলের তৃণমূল স্তরে পৌঁছচ্ছে কি না, অনেক ক্ষেত্রেই সেই রিপোর্ট ডিআইদের থেকে পাওয়া যায় না। এতে স্কুলের গাফিলতি থাকলেও, দায় এড়াতে পারেন না ডিআই-রা, মনে করছে দফতর। তাই ওই সব স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ
দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
পাশাপাশি স্কুলগুলোর কোন প্রকল্পে, কত খরচ হয় সেই শংসাপত্র ঠিক সময়ে পৌঁছয় না বলেও ডিআই-দের তিরস্কার করা হয়। এ দিনের বৈঠকে এক ডিআই বেশ কিছু রিপোর্ট পেশ করতে পারেননি। কারণ জানতে চাইলে, তিনি জানান, রিপোর্ট চুরি হয়ে গেছে। শুনে রেগে যান উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা জানান, সরকার যে বেতন দেয়, তার সুবিচার করতে।
দফতরের এক কর্তা জানান, বহু ক্ষেত্রে স্কুল মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হলেও শিক্ষকদের শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হয়নি। কোনও স্কুলে কলা বিভাগ চালু হলেও ভুল করে বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষকদের শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সমস্যার কথা দফতরে আগেও জানিয়েছিলাম। দ্রুত তা মিটলে সকলের সুবিধা হবে।’’
ডিআই-দের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যে বহু স্কুলে ইনস্পেক্টর পদে লোক নেই। এ জন্য কাজের সমস্যা হচ্ছে। অথচ এ দিনের বৈঠকে তা তাঁরা বলেননি। কেন? উত্তরে এক ডিআই বলেন, ‘‘চাকরির আচরণবিধি মেনে তা বলা যায় না। তবে এ বার থেকে স্কুল নির্দেশ না মানলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy