প্রতীকী ছবি।
ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জেনে নিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে আকছার। এমন ঘটনা ঠেকাতে এ বার প্রতিটি থানায় এক জন করে অফিসারকে দায়িত্ব দিল লালবাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের ৭৯টি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের ‘সাইবার সেফ’ নামে একটি প্রকল্পের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। সূত্রের খবর, ফোন করে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এবং আরও বিভিন্ন কায়দায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার মতো প্রতারণা থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছে এই ‘সাইবার সেফ’ প্রকল্প। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন না হলেও আপাতত এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে লালবাজারের ব্যাঙ্ক প্রতারণা দমন শাখার এক জন ইনস্পেক্টরকে। তিনিই স্থানীয় থানাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে প্রতারকদের হাত থেকে সাধারণ নাগরিকদের বাঁচার পথ তৈরি হতে শুরু করেছে।
সাফল্য আসছে কী ভাবে?
তদন্তকারীরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে একটি বহুজাতিক কুরিয়র সংস্থার মাধ্যমে ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড না পেয়ে এক কর্পোরেট সংস্থার কর্তা ইন্টারনেট মারফত ওই কুরিয়র সংস্থায় যোগাযোগ করেন। তাদের এক প্রতিনিধি ওই ব্যক্তিকে বলেন একটি মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে মাত্র ১০ টাকা জমা দিতে। পুলিশের দাবি, ওই কর্তা সংস্থার কথা মতো কাজ করলে মোবাইল ওয়ালেট থেকে ২৫ হাজার টাকা চলে যায় প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। ভবানীপুর থানার পুলিশ প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্য ‘সাইবার সেফ’-এ জানানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই ২৫ হাজার টাকা তোলা আটকে যায় প্রতারকদের। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নম্বরও। শুধু ভবানীপুর থানায় নয়, সম্প্রতি কালীঘাট থানার একটি প্রতারণার মামলায় সাইবার সেফের মাধ্যমে টাকা আটকে সাফল্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
লালবাজারের খবর, সরকারি ভাবে চালু না হলেও প্রতিটি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে গত এক মাস ধরে এই নয়া ব্যবস্থা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাইবার সেফ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং মোবাইল ওয়ালেট সংস্থাগুলি। ফলে জালিয়াতদের ফোন নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর তদন্তকারীরা ওই পোর্টালে দিলেই তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, প্রতারকেরা যে নম্বর থেকে ফোন করেছিল অথবা যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে, সেটি অভিযোগকারী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে দিলে ওই টাকা আটকে দেওয়া যাচ্ছে। সেই কারণে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এলে তা দ্রুত নোডাল অফিসারকে জানাতে। যাতে পোর্টালের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযোগকারীর টাকা আটকে দেওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy