ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত।—ছবি সংগৃহীত
দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিল আদালতের নতুন ভবনে কাজ শুরু করার। কিন্তু তা না হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ও রাজ্য বিচারবিভাগীয় দফতরের আশ্বাসে পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত তা স্থগিত করা হল ঠিকই তবে এ দিন নাকাল হতে হল অসংখ্য বিচারপ্রার্থীকে। আদালতে এসেও ফিরে যেতে হল তাঁদের। জেল থেকে আসা অভিযুক্তদের কোনও গাড়ি আদালত চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ব্যারাকপুর আদালতের পুরনো ভবনটি শতাব্দীপ্রাচীন। এটি বিপজ্জনক বলেই নতুন ভবনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ের কাছে, মহকুমা শাসকের অফিসের পাশেই তৈরি হয়েছে নতুন ভবন। তার পরেও সেটি চালু না হওয়ার দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন ওই আদালতের আইনজীবীরা। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ভবনের কোনও কাজ বাকি নেই। শুধু আসবাবপত্রের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। পূর্ত দফতরের ব্যারাকপুর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত রানু বলেন, “আমাদের কাজ শেষ। ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য রাজ্যের বিচারবিভাগীয় দফতরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও তা হাতে নেয়নি। ওই দফতর কিছু আসবাবের কথাও বলেছে। যার অনুমোদন এখনও আসেনি।”
এ দিন বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারবিভাগীয় দফতরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকেরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আশ্বাস দেওয়া হয়, চলতি মাসেই আসবাবপত্রের ব্যবস্থা হবে। ১ এপ্রিল নতুন ভবন উদ্বোধন হবে। ব্যারাকপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এই আশ্বাসের পরে কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy