অ্যাসিডে এ ভাবেই পুড়ে গিয়েছে তরুণীর পিঠ। ফাইল চিত্র
অ্যাসিড ছুড়ে তরুণীকে জখম করার অভিযোগে গ্রেফতার হল তাঁর প্রাক্তন স্বামী। ধৃতের নাম জানে আলম খান। তার বাড়ি কড়েয়া এলাকার চানু খানসামা রোডে। রবিবার রাতে ইএম বাইপাসের পঞ্চান্নগ্রাম থেকে আলমকে গ্রেফতার করেন আনন্দপুর থানার তদন্তকারীরা।
অভিযুক্ত পুলিশের কাছে দাবি করেছে, ওই তরুণী একতরফা ভাবে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সেটা মেনে নিতে পারেনি আলম। সেই আক্রোশ থেকেই সে এমন করেছে বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত। ধৃতকে সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণীকে অ্যাসিড ছোড়ার ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ নভেম্বর। অভিযোগকারিণীর দাবি, ওই দিন সকালে তিনি আনন্দপুরের মার্টিনপাড়া গুলশন কলোনি থেকে স্বামীকে নিয়ে তপসিয়া যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় আলমের। পুলিশ জানায়, প্রাক্তন স্ত্রীকে দেখে প্রকাশ্যেই অ্যাসিড ছোড়ে ওই যুবক। তরুণী যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়লে এলাকা ছেড়ে পালায় সে। ওই দিনই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল আলম। লুকিয়ে ছিল হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায়। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পঞ্চান্নগ্রাম থেকে তাকে ধরে পুলিশ। অভিযোগকারিণীকে এ দিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল আনন্দপুর থানায়।
তদন্তকারীরা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। তাঁদের দুই মেয়ে। মাস দশেক আগে আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তরুণী। নতুন করে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। পুলিশের দাবি, বিচ্ছেদ মানতে চায়নি আলম। অভিযোগ, প্রায়ই সে ফোনে প্রাক্তন স্ত্রীকে হুমকি দিত। পরে এলাকা থেকে অ্যাসিড কিনে তরুণীর শ্বশুরবাড়িতে আসে। এবং দেখা মাত্রই তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। তাতে পুড়ে যায় তরুণীর পিঠ, গলা এবং মুখের বিভিন্ন অংশ।
শনিবার অভিযুক্তের গ্রেফতারির খবর শুনে তরুণীর পরিবার কিছুটা আশার আলো দেখলেও তাঁরা এখনও আতঙ্কিত। তরুণীর এক আত্মীয় জানান, আলমের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সে মাঝেমধ্যেই ফোন করে অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দিত। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তরুণীর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy