—প্রতীকী ছবি
পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে মারা গেলেন মারধরে জখম এক ব্যাক্তি। শুক্রবার সকালে, এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ পাল ওরফে বাবলু (৫৪)। তাঁর বাড়ি রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার শান্তিনগরে। মৃতের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা পালের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎবাবু স্থানীয় এক ঠিকাদারের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী মীরা পালের অস্ত্রোপচারের জন্য বকেয়া টাকা চাইতে ঠিকাদার পাপাই ঘোষের কাছে গত রবিবার যান। অভিযোগ, টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে গোলমাল হয়। টাকা না পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁকে টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে পাপাই বাড়িতে ফোন করে ডেকে পাঠান। সেই মতো বিশ্বজিৎবাবু টাকা আনতে গেলে পাপাইয়ের সঙ্গী পাপ্পু পাত্র তাঁকে কাজের জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরাই তাঁকে এসএসকেএমে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। বিশ্বজিৎবাবু বাড়ি না ফেরায় পরিজনেরা ফোন করলে বলা হয়, তিনি পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পরিবারের লোক হাসপাতালে গেলে তত ক্ষণে পালিয়ে যান ঠিকাদারের লোকেরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিশ্বজিতের দেহ নিয়ে শান্তিনগর মোড়ে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা দেহ নিয়ে শ্মশানে যান। রাতে পুলিশ মৃতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করে। মৃতের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, ‘‘আমার বাবার অপরাধ, তিনি প্রাপ্য টাকা চাইতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে টাকা না দিয়ে মারধর করা হল। ওরাই আমার বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ওদের কঠিন শাস্তি চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy