Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Crime

নিউ টাউনে তরুণীর রহস্য-মৃত্যু, আটক স্বামী ও শাশুড়ি

বিয়ের পর থেকেই রথীন ও তাঁর মা তরুণীর উপরে অত্যাচার চালাতেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪৯
Share: Save:

নিউ টাউনের গৌরাঙ্গনগরে বছর উনিশের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। ঘটনায় তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতার নাম কাকলি হালদার মণ্ডল (২০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরাঙ্গনগরের সত্যজিৎপল্লির বাসিন্দা কাকলির সঙ্গে ১০ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় নিবেদিতাপল্লির বাসিন্দা রথীন হালদারের। কাকলির বাবা সুধাংশু মণ্ডলের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, মেয়ের পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।

তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাড়ির লোক না এলে ভর্তি নিচ্ছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে কাকলির পরিজনেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, ট্রলিতে পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ। ওই অবস্থায় রথীন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরিবারের আরও অভিযোগ, কাকলির গলায় ও শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল।

ওই তরুণীর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, হাসপাতালের প্রক্রিয়া মিটিয়ে তাঁরা কাকলির শ্বশুরবাড়িতে যান। অভিযোগ, সে সময়ে তাঁদের জানানো হয়, রান্না করা নিয়ে রথীন ও কাকলির মধ্যে বচসা হয়েছিল। তার পরে কাকলি নিজের ঘরে গিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। কিন্তু ওই তরুণীর পরিবারের দাবি, কাকলির ঘরে ঢুকে তাঁরা ওই ঘটনার কোনও চিহ্ন খুঁজে পাননি।

পরিবার সূত্রের খবর, ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন কাকলি ও রথীন। কিন্তু অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই রথীন ও তাঁর মা তরুণীর উপরে অত্যাচার চালাতেন। কাকলির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিজনেরা। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অভিযুক্তেরা নির্যাতনের অভিযোগ মানতে চাননি। তবে তাঁরা স্বীকার করেছেন, ঘটনার আগে ওই দম্পতির মধ্যে বচসা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং পারিবারিক অশান্তির একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE