সতীশ মিশ্র
ক্রমাগত বয়ান বদলাচ্ছে টিটাগড়ে সতীশ মিশ্র খুনে মূল অভিযুক্ত ভোলা প্রসাদ। শনিবার তাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তবে বয়ান বদলালেও সতীশ খুনে যড়যন্ত্রের কথা সে এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেনি। তবে ভোলার বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় ধৃত বাকিদের আগেই জেরা করেছে পুলিশ। তাদের বয়ানের সঙ্গে ভোলার বয়ানে বিস্তর অমিল রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত অন্যদের ভোলার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। তা হলেই খুনের ঘটনা এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে টিটাগড়ে মোচিপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন সতীশ। রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ব্যারাকপুরের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন জানান, ধৃতদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরও কয়েক দিন তারা আমাদের হেফাজতে থাকবে। তার মধ্যেই খুনের কারণ ও অন্য বিষয়ে জানা যাবে বলে আশা করছি।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, দুই ভাড়াটে কিলার শেখ সমীর এবং সঞ্জয় দাস ছাড়াও আরও চার ধৃতের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল সতীশ খুনে। টিটাগড়ে রেলের মাল খালাস করার ইয়ার্ডে ভোলার অস্থায়ী অফিস রয়েছে। পুলিশ জেনেছে, সেখানে বসেই খুনের ছক কষা হয়। ঘটনার দিনই গ্রেফতার হয়েছিল ভোলা। পরদিন আদালতে তোলার আগেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থ বলে তাকে টানা জেরা করা যাচ্ছে না। তবে ভোলা-সহ বাকিদের জেরা পর্বের ভিডিয়ো এবং অডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে। যাতে তারা ভবিষ্যতে বয়ান বদল করতে না পারে।
যদিও খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ভোলা এখনও সে ভাবে মুখ খোলেনি। ঘটনার সময়ে সে অন্য জায়গায় ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তবে তার কোনও প্রমাণ পুলিশকে দিতে পারেনি। পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার সময়ে ভোলার মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে এবং বাকি ধৃতদের মোবাইলের কল রেকর্ডসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy